যে কোন সময় ইউক্রেনে হামলা, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধের হুমকি

চলমান ইউক্রেণ ইস্যু নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মস্কোকে সতর্ক করে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। খবর সিএনএনের।

যে কোন সময় ইউক্রেনে হামলা, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধের হুমকি

চলমান ইউক্রেণ ইস্যু নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মস্কোকে সতর্ক করে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। খবর সিএনএনের।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আমরা এ সংকট সমাধানে রাশিয়াকে উত্তেজনা কমানোর জন্য নতুন করে আহ্বান জানাচ্ছি।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আগামী দিনে’ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। এ জন্য মস্কোকে উত্তেজনা কমানোর জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। রাশিয়া যদি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধের জন্য দায়ী হবে বলেও জানান তিনি।

ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এতে করে সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। তবে, কূটনৈতিকভাবে এ সংকট সমাধানে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি রাশিয়ার প্রায়ি এক লাখ ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি এ সেনা সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ। এর মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি আরও প্রায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরণের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া। পাশাপাশি নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে দেশ দুইটির সরকার। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে  জানানো হয়, শনিবার জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া আক্রমণ চালালে নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য খুব সীমিত বিকল্প পথ থাকবে। অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তরও পরিস্থিতি অবনতির কথা জানিয়ে একইভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।