শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা প্রত্যাশা করি। ডিকসন আরও বলেন, ১৯৭২ সালে উল্লিখিত মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। তার এমন মন্তব্যের পর কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা নিঃসন্দেহে শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা প্রত্যাশা করি। ডিকসন আরও বলেন, ১৯৭২ সালে উল্লিখিত মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। তার এমন মন্তব্যের পর কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা নিঃসন্দেহে শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ।
গত রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। এ সম্পর্কে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত তৌহিদ হোসেন বলেন, বৃটিশ হাইকমিশনার একথা বলতে পারেন না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ গত ৪০ বছর ধরেই চলছে। সেখানে তো আমি তাদের দোষ দেখি না। দোষতো আমাদেরও আছে।
বৃটিশ হাইকমিশনার বলতে পারতেন, আমরা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। তা তিনি বলতেই পারেন। অনেকেই আমাদের বিষয়ে কমেন্ট করে। কিন্তু ৭২ এর সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে আনার কোনো কারণ তার ছিল না। তিনি ৭২ এর সংবিধান নিয়ে কিছুই বলতে পারেন না।
তৌহিদ হোসেন বলেন, তবে ৭২ এর সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে গত কয়েকটি নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে সেইভাবেই হবে। কারণ ৭২ এর সংবিধানে তো তত্বাবধায়ক সরকারের কোনও অস্তিত্ব ছিল না।
৭২ এর সংবিধান অনুযায়ী প্রথম যে নির্বাচন হয়েছিল সেখানেও কারচুপি হয়েছিল, আমরা জানি সেটা। জনগণ যাকে ভোট দিয়েছিল তিনি জেতেননি। মিডিয়া ক্যু ছোট খাট আকারে শুরু হয়েছে ৭৩ সাল থেকেই।
সাবেক এ পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা মৌলিক বিষয়ে যাই, যখন আমাদের এখানে সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলবে, তখন লোকজন উল্টো পাল্টা কথা বলবে না। আমরা যখনই আমাদের দেশ ঠিকমত চালাচ্ছি না বা আইন ঠিকমত পালিত হচ্ছে না, আমরা যেহেতু দূর্বল, শক্তিমান যারা, তারা দু-একটা কথা বলবে। না হলে হাইকমিশনারকে ডেকে কিছু বলা দরকার ছিল।