সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিন ভীতি দূর হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ভ্যাকসিন ভীতি ছিল তা দূর হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা মহামারির ব্যবস্থাপনা ও ভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যারা সমালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন তারাই ভ্যাকসিন নিতে বেশি উদ্যোগী হয়েছেন। এটি সরকারের জনস্বাস্থ্যনীতির একটি বড় সাফল্য।’
write2shabuj@gmail.com
সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ভ্যাকসিন ভীতি ছিল তা দূর হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা মহামারির ব্যবস্থাপনা ও ভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যারা সমালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন তারাই ভ্যাকসিন নিতে বেশি উদ্যোগী হয়েছেন। এটি সরকারের জনস্বাস্থ্যনীতির একটি বড় সাফল্য।’
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে ‘কুমুদিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ-এর ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমন অনেক সমালোচক রয়েছেন, যারা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে এমনকি ভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও গণমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর থাকতেন। তারাই সবার আগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সেজন্য আমরা গর্বিত।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণ ও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা এত সহজ ছিল না। কোভিডের শুরুতে করোনা শনাক্তের জন্য দেশে মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে ২২০টি করোনা টেস্টের ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। করোনা চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ হাজার বেড প্রস্তুত করা হয়েছিল। মাত্র ৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল। এখন পর্যায়ক্রমে ৯০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের লাইন লাগানো হয়েছে।’
করোনা মোকাবিলায় সরকারকে অনেক সংকটময় পরিস্থিতি পাড়ি দিতে হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সারাবিশ্বে লকডাউনের কারণে ভেন্টিলেটর ও পিপিই’র পর্যাপ্ত সংস্থান ছিল না। কিন্তু সেসবেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল জরুরি ভিত্তিতে। দেশে টেস্টিং কিট ছিল না। সেই কিটও জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে এসে মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সব জায়গায়। বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে থাকে, যখন কোনো দেশে এই হার তিন শতাংশের নিচে নেমে আসে, তখন সেই দেশ থেকে করোনা ধীরে ধীরে বিদায় হতে থাকে। দেশে মৃত্যুর হার এখন ১ দশমিক ৫। যা বিশ্বে এখন সর্বনিম্ন। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ হাজারের কিছু বেশি। যেখানে বিশ্বে কোনো কোনো দেশে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে।’
মহামারি দূর করতে সরকারের বিভিন্ন জনমুখী পদক্ষেপ তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এখন মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। শিল্প-বাণিজ্যসহ আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সকলের চেষ্টায় এই মহামারি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
প্রকৌশল নিউজ/এস
