আগস্ট নাগাদ করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: তাদ্রেজ
আগস্ট নাগাদ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা যে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না কোনোদিন সেটা পাড়ার মুদি দোকানদারও জানে। তবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা পাওয়া যায় বরাবরই মহামারি থেকে মানুষের মুক্তি মিলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের হাত ধরে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ণ উন্নতির পরও বিজ্ঞানীরাও এখন হিমশিম খাচ্ছে করোনা ভ্যারিয়েন্টেসের সাথে।
উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা ব্যবস্থা সবার হাতের নাগালে থাকলেও আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন আসলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেসক্রিপশনেই হয়ে থাকে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এটার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আভাষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা ছাড়া অর্থ্যাৎ স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছুই বলার ছিল না। সেই স্বাস্থ্য সংস্থাই বলছে আগামী আগস্ট নাগাদ করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে তারা।
তবে এই খবরের সাথে সাথে কিছুটা শঙ্কাও প্রকাশ তাদ্রেজ আধানম গেব্রেয়াসুসের কণ্ঠে। আর তা হলো, কঠোর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরাঞ্জম সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। কার্যত চীনের বাজার থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সুরক্ষা সামগ্রী ব্যাপকভাবে রপ্তানি হচ্ছে। আর তার ওপরই ভরসা করে তাদ্রেজ বলছেন, আগস্ট নাগাদ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। বলে রাখা ভালো দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নীচে থাকলে তাকে নিয়ন্ত্রণ বলে ধরা হয়।
তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় যেভাবে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে ২৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা যেভাবে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
করোনার কারণে গত নয় মাসে এক মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছেন। আর চার মাসে ২ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গত তিন মাসে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩ মিলিয়নে। এছাড়াও করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে ধনী দেশগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃতভাবে পিছিয়ে আছে গরিব দেশগুলোর নাগরিকরা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রতি চার জনের মধ্যে একজন করোনার টিকা নিয়েছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে গরিব দেশগুলোতে প্রতি ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র একজন করোনার ডোজ নিয়েছেন। এছাড়াও করোনা নিয়ে অবহেলা, অসচেতনতা আরও বেশি করে বাড়িয়ে তুলছে এই রোগের প্রার্দুভাব।
বিশ্বে করোনা মহামারিতে ইতোমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২,৯৪৪,৫০০ জনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩৬,৫০০,৪০০ জন।