স্কুলশিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক করোনার টিকা দেওয়া শুরু
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ১২টায় মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মন্ত্রী টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্র আদনান আজাদকে ফাইজারের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এদিন মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। এরপর তাদের ১০ থেকে ১৪ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা দেখার জন্য। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলার চারটি স্কুল থেকে নবম ও দশম শ্রেণির ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এদিন জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, সরকারি এস কে বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন, গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং আটিগ্রাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম এ কথা জানান।
তিনি তখন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, শিশুদের টিকা দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আমরা এ টিকা কার্যক্রম শুরু করবো। আর এটি হবে আমাদের একটি ‘টেস্ট রান’। আপনারা এর আগেও দেখেছেন কোনো টিকা দেওয়ার আগে টেস্ট রান করি। তারপর কিছুদিন আমরা সেটাকে পর্যবেক্ষণ করি, এরপর ফাইনাল কার্যক্রম শুরু করি। এবারের টেস্ট রানের জন্য মানিকগঞ্জকে বেছে নিয়েছি। আপনারা জানেন মানিকগঞ্জ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। সেখান থেকে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে দুটি সরকারি স্কুলে ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের বেছে নিয়েছি। তাদের ফাইজারের টিকা দেবো। এরপর আমরা ১০ থেকে ১৪ দিনের শিশুদের পর্যবেক্ষণ করবো, শিশুদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা। পরবর্তীতে ঢাকায় আমরা বড় আকারে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। টেকনিক্যাল কিছু কারণেই মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করবো।
প্রকৌশলনিউজ/সু