অপহরণের পর হত্যা, পুলিশের রহস্য উদঘাটন

রাজধানীর কদমতলীতে অপহরণ করে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে কদমতলী থানা পুলিশ। এ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অপহরণের পর হত্যা, পুলিশের রহস্য উদঘাটন

রাজধানীর কদমতলীতে অপহরণ করে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে কদমতলী থানা পুলিশ। এ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আব্দুল হাই  ও মোঃ রানা।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১০ মিনিটে কদমতলী থানার রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত ,পারিবারিক কলহের কারণে ভিকটিম নাছরিনের সাথে তার স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর ভিকটিম ও তার মেয়ে নাবিলা কদমতলী থানার শনির আখড়া দনিয়া গোয়াল বাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

গত ১৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ভিকটিম বাসা হতে বের হয়ে আর ফিরে আসে নাই। এ ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ জুন কদমতলী থানায় অপহরণ মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে কদমতলী থানা পুলিশ।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জামাল উদ্দিন মীর জানান, মামলাটি তদন্তকালে বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে কদমতলীর রায়েরবাগ এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল হাই এর সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন ১৮ মে সন্ধ্যা ৭ টা ১ মিনিটে আব্দুল হাই এর ফোনকলে শপিং ব্যাগ হাতে ভিকটিম বাসা হতে বের হয়ে আসে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা সুকৌশলে ভিকটিমকে প্রাইভেটকারে তুলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরায়। পরবর্তীতে তারা ভিকটিমকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কাঞ্চনব্রীজ এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ভিকটিমকে হত্যা করে। হত্যার পর ভিকটিমের লাশ ব্রীজের উপর হতে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ লালবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের আলোকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হয়। গত ২১ মে নৌ পুলিশের সহায়তায় শীতলক্ষ্যা নদী হতে  অজ্ঞাতনামা একজন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায়ও হত্যা মামলা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো বলেন, রূপগঞ্জ থানার হেফাজতে থাকা ভিকটিমের লাশের ছবি, ভিকটিমের ব্যবহৃত ঘড়ি, ব্রেসলেট ও আংটি দেখে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা  ভিকটিমের লাশ শনাক্ত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার দায় স্বীকর করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে মর্মে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস