আমি বিবাহিত, শয়তানের ধোকায় ওই ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেছি
‘আমি বিবাহিত। আমার একটি কন্যা সন্তানও আছে। শয়তানের ধোকায় পড়ে আমি ওই ছাত্রের সঙ্গে ভুল করেছি’। এভাবেই বলেছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছাত্রকে (১৩) যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক শাহাদাত হোসেন। তিনি উপজেলার তাহযীবুল উম্মাহ ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও রামগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
‘আমি বিবাহিত। আমার একটি কন্যা সন্তানও আছে। শয়তানের ধোকায় পড়ে আমি ওই ছাত্রের সঙ্গে ভুল করেছি’। এভাবেই বলেছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছাত্রকে (১৩) যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক শাহাদাত হোসেন। তিনি উপজেলার তাহযীবুল উম্মাহ ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও রামগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে বলাৎকারের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রের মা। পরে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাদ্রাসার হিসাব রক্ষক রুবেল ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মা জানান, জানুয়ারি মাসে মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় ওই ছাত্র। গত একমাস ধরে মধ্যরাতে মাঝে মাঝে ওই ছাত্রকে মাথা ও শরীর মালিশ করার কথা বলে শাহাদাত কৌশলে ডেকে নিয়ে যেতেন। তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করতেন। এসব ঘটনা কাউকে না বলতে ছাত্রকে শপথও করানো হয়।
তারা আরো জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসার তিন তলার কক্ষে নিয়ে আবারো বলাৎকারের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে সে তার মাকে সব জানায়। ঘটনাটির বিচার দাবি জানিয়ে শুক্রবার বিকালে ছাত্রের মা মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ দেন। তাৎক্ষণিক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করে ছাত্রের মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
রায়পুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবু নাসের বাবু বলেন, বছরের শুরুতেও মাদ্রাসা এ ধরনের আরো একটি ঘটনা ঘটিয়েছে ওই শিক্ষক। আরেক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে জখম করার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিলো। এমন ঘটনায় তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ছাত্রের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি/এমআরএস