ইসির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ফের গুরুতর অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। একইসঙ্গে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ইসির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ফের গুরুতর অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। একইসঙ্গে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

রোববার (৩১ জানুযারি) সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তারা এ দাবি জানান।

এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৪২ জন নাগরিকের পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণ এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অনিয়ম ও অন্যান্য গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল গঠন করার আবেদন জানিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়।

চিঠিতে তারা বলেন, পরবর্তীতে ১৭ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার লক্ষ্যে উপরিউক্ত আবেদনের সংযুক্তি হিসেবে আরেকটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। চিঠির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ সম্পর্কিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বৈশাখী টেলিভিশনের সাত পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনের কপি সংযোজন করা হয়। একই বিষয়ে মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) দফতর কর্তৃক উত্থাপিত অডিট আপত্তি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনের কপিও সংযোজন করা হয়।

নতুন অভিযোগে বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তারা বলেন, ২০১৮-১৯ সালে অল্প কিছু কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ বাজেটে অন্তত ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর অন্তত সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশনের সচিব, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তা।

প্রকৌশল নিউজ/এস