এক যুগ ধরে ঈদ নেই বিএনপির : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির এক যুগ ধরে ঈদ নেই। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা গুম, হত্যা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির এক যুগ ধরে ঈদ নেই। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা গুম, হত্যা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে দলটি।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঈদ বলতে আমরা সব সময় যেটা বুঝি সেই ঈদ এক যুগ ধরে আমাদের নেই। নেতা-কর্মীদের হত্যা করা, গুম করা, মিথ্যা মামলা দেওয়া—এমন একটা অবস্থা, যেন এই দেশে শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরাই আসামি।’
‘আজকে দেশে যে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা যেন সেই শক্তি অর্জন করতে পারি এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে পারি, সে দোয়া করেছি বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। কষ্ট ও দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। একদিকে করোনার আক্রমণ, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ সরকারের অত্যাচার-নিপীড়ন। এই দুই দানবের হাত থেকে দেশ যেন রক্ষা পায়, এই দোয়া করেছি আমরা।’
এ ছাড়া দলের চেয়ারপারসন, প্রতিষ্ঠাতা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্যও দোয়া করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনো তিনি ঝুঁকির বাইরে নন। চিকিৎসকেরা আশাবাদী, শিগগিরই তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাসায় যাবেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন সঙ্গে থাকেন, আমরা উজ্জীবিত হই। তিনি অনুপ্রাণিত করেন। এখন আমরা এভাবে উজ্জীবিত হই, তিনি তো বেঁচে আছেন। এটাই আমাদের প্রেরণা দেয়। এই অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের নীতি ভুল উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে। বাড়ি যাওয়ার পথে পাঁচজন মারা গেছেন। লকডাউন বললেও তা পালন হচ্ছে না। পরিবহন বন্ধ করেছে, কিন্তু যাত্রী চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে লকডাউন দেওয়া হলে এমন পরিস্থিতি হতো না। তিনি আরও বলেন, প্রণোদনার টাকা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছালে এই পরিস্থিতি হতো না।