ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বেড়েছে ৭০-৮০ ভাগ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেপরোয়া চলাফেরা এবং ওমিক্রনের কারণে করোনার সংক্রমণ ৭০-৮০ ভাগ বেড়ে গেলেও হাসপাতালে রোগী কম এবং মৃত্যুও কম হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ করোনা টিকা নেননি বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে খুবই স্বল্প সংখ্যক (মুমূর্ষু) রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
বেপরোয়া চলাফেরা এবং ওমিক্রনের কারণে করোনার সংক্রমণ ৭০-৮০ ভাগ বেড়ে গেলেও হাসপাতালে রোগী কম এবং মৃত্যুও কম হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ করোনা টিকা নেননি বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে খুবই স্বল্প সংখ্যক (মুমূর্ষু) রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ওমিক্রনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, দেশের বিভিন্ন মেডিক্যালের প্রতিনিধিবৃন্দ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে নেমেছিল। আমরা আশা করেছিলাম, করোনা বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। এতে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে অতিমাত্রায় কনফিডেন্স চলে আসছিল, তারা মনে করেছিল দেশ থেকে করোনা চলে গেছে। যার ফলে আমরা ব্যাপকহারে চলাফেরা শুরু করে দেই। মাস্ক পরিনি, মাস্ক না পরেই বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এখন বাণিজ্যমেলা চলছে, সেখানেও খুব লোকের মুখে আমরা মাস্ক দেখি। কেন যেন আমরা সচেতন হতে পারি না। দোকানপাটেও দেখি মাস্ক ছাড়াই সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এসব কারণে ১ শতাংশ থেকে করোনার সংক্রমণ ৩২ শতাংশে উঠেছে। এটা খুবই আশংকাজনক। আমাদের অতিরিক্ত কনফিডেন্স এবং সারা পৃথিবীতে ওমিক্রন ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়েছে, বাংলাদেশেও জিনোম সিকোয়েনসিংয়ে দেখা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। আশার কথা হচ্ছে, ইউরোপ এবং ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রনে গুরুত্বর অসুস্থ না হলেও দ্রুত ছড়াতে পারে। রোগী যখন বাড়ে তখন মৃত্যুর হারও বেড়ে যায়। আমাদের দেশে এখন ১৬, ১৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার। এর এক শতাংশও যদি হাসপাতালে আসে, এক শতাংশও যদি মৃত্যুবরণ করে তার সংখ্যা অনেক।
জাহেদ মালেক বলেন, ঢাকায় করোনার চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজারের কিছু বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালের ৫০০ বেড ভরে গেছে। এবার শনাক্ত বেশি হলেও হাসপাতালে রোগী ওভাবে বাড়ছে না। মৃত্যুও সেভাবে বাড়ছে না। এর অন্যতম কারণ ভ্যাকসিন।
হাসপাতালে আসা রোগীর ৮৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নেন জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর ৮৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নেননি। ঢাকা শহরের সরকারি হাসপাতালগুলো শয্যার তুলনায় ২৫ শতাংশ রোগী ভর্তি রয়েছে।