কলকাতায় নারদকাণ্ডে ৪ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

কলকাতায় নারদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চার তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও ভবানীপুরের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়।

কলকাতায় নারদকাণ্ডে ৪ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

কলকাতায় নারদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চার তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও ভবানীপুরের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়।

সোমবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের অ্যারেস্ট মেমোয় স্বাক্ষর করানো হয় বলে জানিয়েছে সিবিআই। 

সোমবার সকালে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তৃণমূলের বিধায়ক এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 
সকাল ৯টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সিবিআই। 

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ফিরহাদ বলেন, ‘নারদ মামলায় আমাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিনা নোটিশে আমাকে গ্রেফতার করা হলো। স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই আমায় গ্রেফতার করা হলো। আদালতে দেখে নেব।’ 

সোমবার সকালেই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেসে আনা হয় রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

যদিও সিবিআই সূত্রে প্রথমে দাবি করা হয়, গ্রেফতার করা হয়নি ফিরহাদকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে বেলা গড়াতে গ্রেফতারের বিষয়টি জানা যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে।

সূত্রের খবর, সোমবারই নারদকাণ্ডে এই চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। চার্জশিটের বয়ান ঠিক করে নয়াদিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন আসার পরই তড়িঘড়ি এই চারজনকে তুলে আনা হয়।

কিছুদিন আগেই নারদকাণ্ডের মামলায় চার্জশিট গঠনের অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই মামলার সূত্রেই সিবিআই এই নেতাদের ধরেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

২০১৪ সালে নারদা নিউজের প্রধান ম্যাথু স্যামুয়েল স্টিং অপারেশন করেন। ম্যাথুর পরিকল্পনা অনুযায়ী ইমপেক্স কনসালট্যান্সি নামে একটি কাল্পনিক সংস্থার হয়ে নারদা নিউজের লোকজন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের কাছে পৌঁছান‌।

নারদা নিউজের দাবি, ওই কাল্পনিক সংস্থা রাজ্যে ব্যবসা চালানোর জন্য ৭২ লাখ টাকা ঘুষ দেয় তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের।

মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, পুলিশ কর্মকর্তা এমএইচ আহমেদের নাম জড়িয়ে যায় নারদাকাণ্ডে। এদের প্রত্যেককে ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা যায়।

সোমবার তৃণমূলের বর্তমান ও সাবেক চার মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে গ্রেফতারি কাগজে সই করানো হয় তাদের।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করে বলা হয়েছে, নারদাকাণ্ডে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর নাম থাকা সত্ত্বেও তারা গ্রেফতার হয়নি। বিজেপিতে যোগ দেয়াতেই তাদের ছাড় দেয়া হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের।