কাদের মির্জার সব ফেসবুক পোস্ট গায়েব!
ফেসবুকের গত দুই মাসের সকল পোস্ট মুছে ফেললেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চলতি ২ মার্চ পর্যন্ত তার দেয়া লাইভ ভিডিও ও পোস্টগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
ফেসবুকের গত দুই মাসের সকল পোস্ট মুছে ফেললেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চলতি ২ মার্চ পর্যন্ত তার দেয়া লাইভ ভিডিও ও পোস্টগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজের ইশতেহার ঘোষণার সময় নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ৩-৪ জন এমপি ছাড়া অন্যরা দরজা (দজ্জা) খুঁজে পাবে না মন্তব্য করে সারাদেশে আলোচিত হন কাদের মির্জা।
এরপর থেকে একের পর এক ‘সত্যবচনের’ নামে মন্ত্রী, প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করে গণমাধ্যমসহ সারাদেশের জনগণের নজর কাড়েন। তবে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সেই ‘সত্যবচনের’ ভিডিওগুলো মুছে দেয়ায় এখন তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাষ চন্দ জানান, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুকের গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ মার্চের লাইভ ভিডিওসহ পোস্টগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, মুছে দেওয়া পোস্টের মধ্যে মেয়রের অনেকগুলো লাইভ ভিডিও ছিলো, যাতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতুমন্ত্রীর সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেছা কাদের, সচিব বেলায়েত হোসেন, নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, ফেনীর এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালীর ডিসি খোরশেদ আলম খান, এসপি মো. আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও জিয়াউল হক মীর, এসিল্যান্ড সুপ্রভাত চাকমা, ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা বিষোদগারমূলক কথার ভিডিও ছিলো।
বসুরহাটের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুকের ২ মার্চের আগের কোনো পোস্ট দেখা যাচ্ছে না। ঠিক কী কারণে পোস্টগুলো মুছে দেয়া হয়েছে তা কেউ জানে না। তবে এ ব্যবসায়ীর ধারণা বড়ভাই ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এসব পোস্ট ডিলিট করা হতে পারে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিও কাদের মির্জার ফেসবুকের ২ মার্চের আগের পোস্টগুলো দেখছেন না জানিয়ে বলেন, ওই সময়ের মধ্যে পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন অনেকের বিরুদ্ধে কথা বলে ভিডিও পোস্ট দিয়েছিলেন মেয়র কাদের মির্জা।
এ ব্যাপারে জানতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মোবাইলে বার বার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস