গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে সর্বস্ব লুট
ভিকটিম মোঃ আরিফুল ইসলাম গত ২০ মে রাত অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে ভুলতা গাউছিয়াগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার ভিকটিমের সামনে এসে দাঁড়ায়। তিনি তাদের সাথে উক্ত প্রাইভেটকারে উঠেন। প্রাইভেটকারটি গাউছিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে প্রায় ২০০ মিটার যাওয়ার পর পিছনের সিটের ভিকটিমের দুই পাশে বসা দুইজন যাত্রী তার হাত চাপ দিয়ে ধরে। ভিকটিমকে গামছা দিয়ে বেঁধে কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং গলায় ছুরি চেপে ধরে ভয় দেখায়।
ভিকটিম আরিফুল ইসলাম গত ২০ মে রাত অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে ভুলতা গাউছিয়াগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার ভিকটিমের সামনে এসে দাঁড়ায়। তিনি তাদের সাথে উক্ত প্রাইভেটকারে উঠেন। প্রাইভেটকারটি গাউছিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে প্রায় ২০০ মিটার যাওয়ার পর পিছনের সিটের ভিকটিমের দুই পাশে বসা দুইজন যাত্রী তার হাত চাপ দিয়ে ধরে। ভিকটিমকে গামছা দিয়ে বেঁধে কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং গলায় ছুরি চেপে ধরে ভয় দেখায়।
গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিমের কাছে থাকা মোবাইল সেট, নগদ অর্থ ও ব্যবহৃত বিকাশ এ্যাকাউন্টের পিন কোড জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। রাত অনুমান সোয়া ১০ টায় ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকায় চোখে স্প্রে করে নামিয়ে দেয়। ভিকটিম তখন বুঝতে পারে প্রাইভেটকারে থাকা সকলেই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ছিল।
পরবর্তী সময়ে বাদী বাসায় গিয়ে দেখতে পায়, উক্ত ছিনতাইকারীরা তার বিকাশ নাম্বারে থাকা টাকা সেন্ড মানি করে নিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিম আরিফুল ইসলাম খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা বিমান বন্দর জোনাল টিম। এ মামলার ঘটনা তদন্তে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে গোয়েন্দা টিম। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সিটি ফিলিং স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের বিমান বন্দর জোনাল টিম।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল-সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধান মানিক মিয়া, জাকির হোসেন, আরিফ, হযরত আলী ও জাহিদ হোসেন।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার যার রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্টো-গ-১১-৭৪৫৭, একটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি, একটি গামছা, একটি খাকি রংয়ের স্কচটেপ, লাল-কালো রংয়ের ইলেকট্রিক তার ও একটি স্ক্রু-ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা মহানগরীর খিলক্ষেত, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে ভুলতা-গাউছিয়া ও এয়ারপোর্ট থেকে ময়মনসিংহ, শেরপুরে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে যাত্রী উঠায়। পরবর্তী সময়ে যাত্রীর গলায় ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে, গামছা দিয়ে চোঁখ ও হাত বেঁধে, মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে, গলায় ছুরি ধরে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে যাত্রীর সর্বস্ব লুট করে নিয়ে নির্জন স্থানে ফেলে দিয়ে চলে যায় মর্মে গোয়েন্দা এই কর্মকর্তা জানান।
গ্রেপ্তারকৃতদের খিলক্ষেত থানার মামলায় রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস