গৃহকর্মী নির্যাতন : গৃহকর্ত্রী রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর ভাটারায় গৃহকর্মী কুলসুম আক্তারকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী মাহফুজা রহমানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গৃহকর্মী নির্যাতন : গৃহকর্ত্রী রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর ভাটারায় গৃহকর্মী কুলসুম আক্তারকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী মাহফুজা রহমানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ভাটারা থানার নারী ও শিশু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই রাফাত আরা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন আসামি মাহফুজা রহমানকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামিপক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৪ জুলাই মাহফুজা রহমানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ৫ জুলাই তার স্বামী বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১ জুলাই কুলসুম আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বোন ফাতেমা বেগম ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসাদুর রহমান আরিফ এবং তার স্ত্রী মাহফুজা রহমানকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর ভাটারায় আসাদুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে কুলসুম আক্তার। কাজে সামান্য ভুল হলেই কুলসুমকে লাঠি দিয়ে মারধর, প্লাস দিয়ে মাথার চুল টানা, গায়ের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়া, গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতন করতেন মাহফুজা। সর্বশেষ ১৫ জুন ঘর পরিষ্কার করতে দেরি হওয়ায় কুলসুমকে বেধড়ক মারধর করেন আরিফ ও মাহফুজা। এমনকি গরম পানি দিয়ে তার শরীর ঝলসে দেওয়া হয় এবং চুলায় রড গরম করে তার পায়ে চেপে ধরা হয়। এছাড়া, কুলসুমের মুখ, হাত, পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে। পরে অসুস্থতার কথা বলে ৩০ জুন কুলসুমকে তার বড় বোন ফাতেমা আক্তারের বাসায় রেখে যান আরিফ।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস