অর্ধ শতাব্দি পর আবার চিলাহা‌টি- হল‌দিবাড়ী ‌রেলপথ চালু হ‌চ্ছে বৃহস্পিতবার

অর্ধ শতাব্দি পর আবার চিলাহা‌টি- হল‌দিবাড়ী  ‌রেলপথ চালু হ‌চ্ছে বৃহস্পিতবার

বাংলা‌দেশ ও ভার‌তের ম‌ধ্যে এক‌টি নতুন রেল ক‌রি‌ডোর চিলাহা‌টি - হলদিবাড়ী লাইন চালু হবে বৃহস্পতিবার।  বাংলা‌দেশ এবং ভার‌তের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভি‌ডিও কনফা‌রে‌ন্সের মাধ্যমে এ রুট উদ্বোধন কর‌বেন।  এর জন্য সব প্রস্তু‌তি শেষ করেছে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল বিভাগ এবং রেল মন্ত্রনালয়। 

১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর চিলাহাটি হতে হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেললিংকটি বন্ধ হওয়ায় দুই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী রেলওয়ে সেবা হতে বঞ্চিত হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ে।  বর্তমান সরকার আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারকরণের মাধ্যমে ব্যবসা- বাণিজ্য ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ৭টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট এর মধ্যে ৪টি-তে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে ৫ম ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট হিসেবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলসংযোগটি সংযোজিত হচ্ছে।

এ প্রক‌ল্পের অনুমোদিত ব্যয় ৮,০১৬.৯৪ লক্ষ টাকা। অনুমোদিত বাস্তবায়নকাল ০১ আগস্ট ২০১৮ হতে ৩১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। প্রকল্পের বিদ্যমান চুক্তির আওতায় মূল কাজসমূহ নতুন রেলপথ নির্মাণ (মেইনলাইন) : ৬.৭২৪ কি. মি., নতুন রেলপথ নির্মাণ (লুপলাইন): ২.৩৬ কি. মি., মাইনর ব্রীজ নির্মাণ -৭ টি, লেভেল ক্রসিং গেট - ২ টি,কালার লাইট সিগন্যালিংসহ, টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম প্রবর্তন -১ টি স্টেশন।

চিলাহাটি ও চিলাহাটি বর্ডার রেলপথটি চালু হলে বাংলাদেশের মোংলা পোর্ট এবং উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল এবং ভূটানের মধ্যে আমদানী ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো মানোন্নয়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কায্যক্রম জোরদার হবে। রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন চলাচল সম্ভব হবে। ফলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেলের অবদান বৃদ্ধি পাবে। কন্টেইনার ট্রেন পরিচালনা শুরু করা যাবে। এর ফলে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি পাবে।বাংলাদেশী পর্যটকগণ দার্জিলিংসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে দ্রুত ও সহজে ভ্রমণ করতে পারবেন।