টিকটক হৃদয় বাবুর সহযোগী হিরো অনিকসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
ভারতে এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ও মগবাজারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ভারতে এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ও মগবাজারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- শহিদুল ইসলাম ওরফেএ্যাম্পুল (৩৪), আবির আহমেদ রাকিব (২২), সোহাগ হোসেন আরিফ (৩৬) ও হিরা (২২)। তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ৫ টি ধারালো অস্ত্র, ১ টি চেইন, ৩শ পিস ইয়াবা, ৭টি মোবাইল ফোন ও ৩৪শ টাকা উদ্ধার করা হয়। রবিবার রাতে র্যাব হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
সোমবার কাওরানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত অনিক হাসান মগবাজার হাতিরঝিল ও তদসংলগ্ন এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। বর্তমানে তার নামে হত্যা, মাদক ও অস্ত্র, ডাকাতিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। তার গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০-২৫ জন।
কিশোর অবস্থায় থেকেই তিনি অপরাধ চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে সংঘবদ্ধ দল গড়ে তোলেন। তিনি ২০১৬ সালের আলোচিত আরিফ হত্যা মামলার মাধ্যমে পরিচিতি পান। তার এই সংঘবদ্ধ দল মগবাজার, মধুবাগ, মিরবাগ, নতুন রাস্তা পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সিন্ডিকেট ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ও তার দল হাতিরঝিলে আগত দর্শনার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতেন। এছাড়া তিনি উক্ত এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
হাতিরঝিল এলাকা দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় টিকটিক গ্রুপের কার্যকলাপগুলোও তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। টিকটক হৃদয়ের চাহিদায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতেন। এছাড়া তিনি টিকটক হৃদয়কে টিকটক গ্রুপের নেশা ও আড্ডার জন্য মাদক সরবরাহ করতেন। তিনি মাদক সিন্ডিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অপর সদস্যদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম এ্যাম্পুলের নামে মাদক ও চুরির ৬টি মামলা রয়েছে। আবির আহমেদ রাকিবের বিরুদ্ধে ২টি, সোহাগ হোসেন আরিফের বিরুদ্ধে ৩টি ও হিরার বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস