টিকা নেওয়ার পরও করোনাক্রান্ত হলেন ত্রাণ সচিব ও স্বাস্থ্যকর্মী
করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন। ভ্যাকসিন নেওয়ার ১২ দিন পর তার শরিরে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মীও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন। ভ্যাকসিন নেওয়ার ১২ দিন পর তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মীও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকা নিয়েছিলেন। এরপর ১২ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এবং ১৬ দিন পর মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
মো. সেলিম হোসেন বলেন, সচিব স্যারসহ আমাদের অফিসের সবাই গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নিয়েছিলাম। এরপর করোনার লক্ষণ দেখা দেয়ায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সচিব মহোদয় নমুনা দেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ফলাফল পজিটিভ আসে।
তিনি আরও বলেন, সচিব স্যারের শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেন সেচুরেশন কমে যাওয়ায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তার শ্বাসকষ্ট কমেছে, অক্সিজেন সেচুরেশনও ভালো। তবে তার বেশ কাশি রয়েছে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি টিকা গ্রহণ করেন। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
এ বিষয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী মোহাম্মদ রশিদ–উন–নবী গণমাধ্যমকে বলেন, যেদিন সাজ্জাদ টিকা নেন, সেদিন থেকেই তার জ্বর ছিল। তবে তার শরীরে হয়তো আগে থেকেই করোনার জীবাণু ছিল। সাজ্জাদ হোসেন এখন বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ জন। মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৬৯ জনের। এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৫ জন।
প্রকৌশল নিউজ/এস