ধরলা নদীর ভাঙন : হুমকিতে নির্মাণাধীন ফলিমারী মুজিব কিল্লা
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দ্বীপচর ফলিমারীতে ধরলা নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দুই কোটি আট লাখ পাঁচ হাজার ৫৯০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মুজিব কিল্লাটি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দ্বীপচর ফলিমারীতে ধরলা নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দুই কোটি আট লাখ পাঁচ হাজার ৫৯০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মুজিব কিল্লাটি।
দ্বীপচর বাসি খুশি হলেও নদীর ভাঙন কবলিত জায়গা থেকে মাত্র ৮০ থেকে ৯০ মিটার দূরত্বে মুজিব কিল্লাটি নির্মাণ করায় তারা হতাশ। ধরলা নদীর ভাঙনে যেকোনো সময় নদীগর্ভে চলে যেতে পারে কিল্লাটি।
দ্বীপচর ফলিমারীর মৎস্যজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বীপচরে মুজিব কিল্লা নির্মাণে আমরা খুশি। কিন্তু এর কাছাকাছি জায়গায় ধরলা নদী ভাঙছে। যেকোনো সময় মুজিব কিল্লা নদী গর্ভে চলে যেতে পারে। নদীর ভাঙন ঠেকানো না গেলে মুজিব কিল্লাটি রক্ষা করা যাবে না।’
মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লাটি থেকে মাত্র ৮০ থেকে ৯০ মিটার দূরত্বে ধরলা নদীর ভাঙন চলছে। নদী ভাঙন ঠেকানো না গেলে কিল্লাটি থাকবে ভাঙন ঝুঁকিতে।’
তিনি জানান, ফলিমারী দ্বীপচরটিতে প্রায় ৩৫০ পরিবারের বসবাস। তাদের সবাই মৎস্যজীবী। বন্যার সময় তাদের ও তাদের গৃহপালিত প্রাণীগুলোর নিরাপদ আশ্রয়ের জন্যই সরকার এই মুজিব কিল্লা নির্মাণ করছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন বলেন, ‘প্রশাসন থেকে যে স্থান নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে সেখানেই এর নির্মাণ কাজ চলছে। তবে এটা ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।’
লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মশিউর রহমান বলেন, ‘এর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে। নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লাটি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
২০১৬ সালে প্রকল্পটি যখন অনুমোদন হয় তখন স্থানটি নদী ভাঙন থেকে নিরাপদ দূরত্বে ছিল বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘মুজিব কিল্লাটি ধরলা নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি এবং নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘নির্মাণাধীন ফলিমারী মুজিব কিল্লাটি পরিদর্শন করেছি। এর অনেক কাছে ধরলা নদীর ভাঙন চলছে। ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দেব।’