পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল মামুনুলের : ডিসি হারুন
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ছিল বলে জানিয়েছে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ছিল বলে জানিয়েছে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ।
রোববার বিকেলে পূর্বনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
হারুন বলেন, ২০০৫ সালের দিকে ভগ্নিপতি নেয়ামতউল্লাহর মাধ্যমে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন তিনি।
মো. হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকার উৎখাতে মামুনুল সব ধরনের পরিকল্পনা করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০৫ সালে পাকিস্তানে যান। সেখান থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটান।
বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিম হচ্ছেন মাওলানা মামুনুল হকের আপন ভায়রা ভাই। পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী, গ্রেনেড হামলার আসামি এবং জামাতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ছক এঁকেছিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক। তার ভাই মাহফুজুল হক কোনও মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার পায়তারা করছিল। রিমান্ডে শাপলা চত্বরে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কথার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এছাড়াও বিভিন্ন বক্তব্যের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি মামুনুল।