প্রেমিকাকে না পেয়ে আত্মহত্যা স্কুল ছাত্রের

প্রেমিকাকে না পেয়ে আত্মহত্যা স্কুল ছাত্রের

প্রেমিকাকে না পাওয়ার হতাশায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা দশম শ্রেণির এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রের নাম সোহান রানা (১৮)।

মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদরের পশ্চিমপাড়া নামে একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সোহান বুড়িচং উপজেলার ফজলুল রহমান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্র ছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাহের সর্দারের স্কুল পড়ুয়া ছেলে সোহান রানা প্রেমিকাকে না পেয়ে কিছুদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল।

মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার সাথে ঘরের লোকদের তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে সে ক্ষোভে দুপুরের দিকে ঘরের একটি কক্ষে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘরের জানালা দিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তার ভাতিজা সীমান্ত। এসময় পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহান রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম, নিহতের বড় ভাই শাহাজাহান ও চাচা আবুল বাশার ভূইয়া জানান, নিহত সোহান রানা অনেক দিন ধরে ব্রাহ্মণপাড়া সাহেবাবাদ নগরপাড় এলাকার প্রবাসী বাবুল মিয়ার কন্যা লামিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমিকা লামিয়া বুড়িচং সরকারি হাসপাতাল সংলগ্নে একটি বাসাবাড়িতে পরিবারের সাথে ভাড়ায় থাকতেন। মেয়েটি কয়েকবার প্রেমের টানে সোহান রানার বাড়িতে চলে এসেছিল। কিন্তু দুজনের বয়স কম হওয়ার কারণে সোহানের পরিবার মেনে নেয়নি। তারপর ব্রাহ্মণপাড়ার জসিম চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে বৈঠকে সবাই বসে মৌখিক সিদ্ধান্ত নেয় যে দুজনের প্রাপ্ত বয়স হলে এবং লেখাপড়া শেষ হলে বিয়ের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত পর এক রাতে সকলের অজান্তে লামিয়া ও তার পরিবার বাসা ছেড়ে চলে যায়। সকলে ধারণা লামিয়া চলে যাওয়াতে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সোহান রানা আত্মহত্যা করেন।

বুড়িচং থানার এসআই নয়ন মিয়া জানান, লাশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধ