ভূমি মন্ত্রণালয় জলবায়ু সম্পৃক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে
ভূমি মন্ত্রণালয় জলবায়ু সম্পৃক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এগুলো হচ্ছে: 'গুচ্ছগ্রাম (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলেটেশন প্রকল্প-২য় পর্যায়)' ও 'চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্প - ৪ (সিডিএসপি-৪)'। এছাড়া জলবায়ু সম্পৃক্ত দুটি প্রকল্প ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: 'স্ট্রেনদেনিং অ্যাক্সেস টু ল্যান্ড এন্ড প্রপার্টি রাইটস টু অল সিটিজেনস অব বাংলাদেশ' ও 'স্ট্রেনদেনিং গভর্নেন্স ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (কম্পোনেন্ট-বি: ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)'।
ভূমি মন্ত্রণালয় জলবায়ু সম্পৃক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এগুলো হচ্ছে: 'গুচ্ছগ্রাম (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলেটেশন প্রকল্প-২য় পর্যায়)' ও 'চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্প - ৪ (সিডিএসপি-৪)'। এছাড়া জলবায়ু সম্পৃক্ত দুটি প্রকল্প ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: 'স্ট্রেনদেনিং অ্যাক্সেস টু ল্যান্ড এন্ড প্রপার্টি রাইটস টু অল সিটিজেনস অব বাংলাদেশ' ও 'স্ট্রেনদেনিং গভর্নেন্স ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (কম্পোনেন্ট-বি: ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)'।
২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট ডকুমেন্টেস-এর ‘জলবায়ু বাজেট প্রতিবেদন ২০২১-২২’-এ এসব তথ্য উঠে আসে। উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরে মোট ২২২৮.৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যার ৪.৮৪ শতাংশ অর্থাৎ ১০৭.৯৪ কোটি টাকা জলবায়ু সম্পর্কিত কাজে বরাদ্দ। গত বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১ তারিখে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অর্থ বিভাগ উপর্যুক্ত বাজেট ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাজেট কাঠামোয় উল্লিখিত কার্যাবলীসমূহের মধ্যে জলবায়ু সম্পর্কিত দুটি হচ্ছে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা আইনসমূহ যুগোপযোগীকরণ’, এবং ‘ভূমিহীন অতি দরিদ্র এবং নিম্নবিত্তদের পুনর্বাসন ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন’।
এছাড়া, এই মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদী কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে 'বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাস জমি চিহ্নিতকরণ এবং ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান' ও 'জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা' অন্যতম, যার সাথে জলবায়ুর সম্পৃক্ততা রয়েছে।
শত বছরের মহাপরিকল্পনা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত ১২ সদস্যের ‘ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল’-এর অন্যতম সদস্য মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এর অন্যতম উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হ্রাস।
অন্যদিকে, ২০২১-২০ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় ভূমি ব্যবস্থাপনার অটোমেশনের ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে উঠে আসে। বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়, ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, পর্চা সংগ্রহ, সকল সেবা দ্রুত এবং ভোগান্তিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে সারা দেশে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ করা হবে। ভূমি সেবা সংক্রান্ত সকল সেবা ১৮টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে।
বাজেট বক্তৃতায় আরও উল্লেখ করা হয়, কৃষিজমি সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সারাদেশে মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হবে। জমি ব্যবহারের প্রকৃতি অনুযায়ী ডিজিটাল জোনিং করা হলে দেশের কৃষিজমি সুরক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে এবং ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। দেশের সকল রাজস্ব আদালতের মামলাসমূহ একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে দেশের সকল রাজস্ব আদালতের মামলা নিষ্পত্তিতে গতিশীলতা আসবে এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় সকল ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং ভূমিসচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ-এর তত্ত্বাবধানে ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া, বাজেট বক্তৃতায় আরও উল্লেখ করা ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজেশন করার জন্য “ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন" প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নাগরিকগণ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা পাবেন। এতে ভূমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া আইসিটি নির্ভর হওয়ায় আরো সহজ হবে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ হাস পাবে। আইন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিবন্ধন অধিদপ্তর ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের সমন্বয়ে নিবন্ধন কাজ পরিচালনা করে থাকে।
উল্লেখ্য, ভূমি ক্রয়-বিক্রয় কিংবা হস্তান্তরের পর ভূমির নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) ও নামজারির (মিউটেশন) সমন্বয়সাধনের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইতোমধ্যে দলিল বুনিয়াদে নামজারির কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দলিল গ্রহীতার থেকে উপজেলা ভূমি অফিস কিংবা সার্কেল অফিসের আলাদা করে নামজারির আবেদন গ্রহণের প্রয়োজন হবেনা।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস