ভূয়া চালানে বিল : ১০ দিনের প্রতিবেদন দেড় বছরেও পায়নি রেল মন্ত্রণালয়
রেললাইনে পাথর সরবরাহের ভূয়া চালানে বিল দেয়া হয়েছে ঠিকাদারদের। এমন একটি অভিযোগ রয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেল মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (উন্নয়ন-৪) মো. খালেদ হোসেন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, উপ সচিব (উন্নয়ন-২) নাজমুল হক।
রেললাইনে পাথর সরবরাহের ভূয়া চালানে বিল দেয়া হয়েছে ঠিকাদারদের। এমন একটি অভিযোগ রয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেল মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (উন্নয়ন-৪) মো. খালেদ হোসেন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, উপ সচিব (উন্নয়ন-২) নাজমুল হক।
কথা ছিলো পরবর্তি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য সুতোর টানে দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রতিবেদন পায়নি রেল মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহবায়ক খালেদ হোসেন প্রকৌশল নিউজকে বলেন, ‘প্রতিবেদনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেব।’
তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দেরির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই জটিল জিনিস। যে কারণে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, যাতে রিপোর্টটা সঠিক হয়। ইতিমধ্যে আমরা তদন্তের স্বার্থে কয়েকবার রাজশাহীতে গিয়েছি। সময় বেশি লাগার বিষয়টিও আমরা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আফজাল হোসেন ২০১৮ সালে রাজশাহীতে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) হিসেবে যোগদানের পর বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ঘুষ নিয়ে ভূয়া চালানের মাধ্যমে এসব বিল দেন। যাতে রেলওয়ের তথা সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়। অভিযুক্ত ঠিকাদার ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আশরাফ আলী, সফল এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সরদার ট্রেডার্স।
উল্লেখ্য, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২১ আগষ্ট পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে আফজাল হোসেনকে অপসারণ করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এসআই