ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলিতে আ.লীগ নেতাসহ নিহত ২, ভোটগ্রহণ স্থগিত
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়ন ও কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ আবুল কালাম নামের এক ভোটার নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়ন ও কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ আবুল কালাম নামের এক ভোটার নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান সমকালকে জানান, সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী শেখ কামাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হয়েছেন।
নিহত আবুল কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থক।
গুলিবিদ্ধ আবুল কালামকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন উল্লেখ করে ওসি জানান, ঘটনার পরপরই ৫নং ওয়ার্ডের ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
অন্যদিকে কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড়ের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আবদুল হালিম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই।
আবদুল হালিম বড়ঘোপ ইউনিয়নের গোলদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ৭ নং ওয়ার্ড় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওমর হায়দার জানান, কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যের গুলিতে আবদুল হালিম আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।.
প্রকৌশলনিউজ/সু