শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়

দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের শিমুলিয়া ঘাটে ঢল নেমেছে। বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার দ্বিতীয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই এই ঘাটে আসতে থাকে মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে।

শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়

দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের শিমুলিয়া ঘাটে ঢল নেমেছে। বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার দ্বিতীয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই এই ঘাটে আসতে থাকে মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জারি করা বিধিনিষেধ গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে শিথিল হয়েছে। গতকালও এই ঘাটে বাড়ি ফেরা মানুষের উপস্থিতি ছিল। তবে সেটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে আজ শুক্রবার (১৬ ‍জুলাই)। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন। ফেরি ও লঞ্চে করে পদ্মা পারাপার করছেন তারা।

এদিকে, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করা যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছয় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক আটকে ছিল ঘাটে। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনে আসা যাত্রীদেরও নদীর পারাপারের অপেক্ষা বাড়ছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি কমে এসেছে। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও এর চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।

বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের চাপ রয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে চার শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে।