জাল সনদে মাস্টার্স পাস নরসিংদীর পৌর মেয়র!
নরসিংদীর পৌরসভার মেয়র মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছেন নরসিংদী জেলা মোটর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আহমেদ রনি কায়সার। আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী বছরের ২৩ মার্চ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) মামলার বাদী আহমেদ রনি কায়সারের আইনজীবী মোহাম্মদ রিপন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সনদ জালিয়াতির অভিযোগে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) নরসিংদীর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে মামলা করা হয়। আদালত সিআইডিকে আগামী বছরের ২৩ মার্চ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয় পৌরসভার মেয়র মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমাকে হয়রানি করার জন্য সম্পন্ন মিথ্যাভাবে এই মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেয়র মো. কামরুজ্জামান ২০১৫ সালে নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফ নামায় তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাস উল্লেখ করেন। আসামি জাল-জালিয়াতি করে এইচএসসি পাস দাবি করেছেন এবং প্রতারণা করে সত্য গোপন করেছেন। নরসিংদী সদর ওয়েবসাইটে মেয়রের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স/সমমান উল্লেখ রয়েছে। যা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজনকৃত। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে কীভাবে মাস্টার্স/সমমান পাস করলেন এবং নরসিংদী সদর ওয়েবসাইটে শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স/সমমান লিখেছেন যা মেয়র অসৎভাবে তার প্রকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রতারণা ও জাল জালিয়াতি করেছেন, যা ফৌজদারী অপরাধ।
অভিযোগে আরও জানা যায়, আসামি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন বলে দাবি করলেও ২০১৫ সালের নরসিংদীর পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস না লিখে ৮ম শ্রেণি পাস উল্লেখ করেছেন যা প্রমাণিত হয় যে, তার এসএসসি সাটিফিকেট জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি নিজে সৃজন করেছেন।