সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বাতিলের দাবি

সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা ও এই পদ্ধতি বাতিলে দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বাতিলের দাবি

সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা ও এই পদ্ধতি বাতিলে দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম ৮ মাসের বেতন ঠিকমতো দেয়া হয়। কিন্তু এরপর দীর্ঘ ৩৫ মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ। মহিলা শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ে অফিসে না আসলে তাদের চাকরি চুত্য করা হয়। কোনো অপরাধ ছাড়া বিনা কারণেই কথায়-কথায় চাকুরীচ্যুত করা হয় দক্ষ কর্মচারীদের। টেন্ডার জটিলতায় কর্মরত অনেকের চাকুরী চলে যায়। বছর শেষে জুন মাসে মেয়াদ রিনিউ করার নামে বিপুল টাকা ঘুষ দাবি করেন ঠিকাদাররা, প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক একাউন্টে বেতন বিল পরিশোধ করার কথা বললেও ঠিকাদাররা ব্যাংক একাউন্টে টাকা না দিয়ে হাতে-হাতে টাকা দেন। ফলে সরকার নির্ধারিত বেতন না দিয়ে ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছেমত কম বেতন দেয়, যার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ থাকে না।

সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান আনিস সরকারের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করে সকল কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও চাকরি স্থায়ী করা, সেবা গ্রহণ ও সেবা ক্রয়কারী মধ্যে ঠিকাদারকে না রাখা,  আউটসোর্সিং ও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক নিয়োজিত সকল কর্মচারীদের চাকুরীর বয়সসীমা শিথিল করা, সরকারী দপ্তর-অধিদপ্তর-পরিদপ্তরে ইতিমধ্যে অনেককে বিনা অপরাধে এবং ঠিকাদারকে ঘুষ না দিতে পারায় চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। চাকুরীচ্যুত ওই সকল কর্মচারীদের চাকরিতে পূর্ণবহাল; উৎসব বোনাস ও বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করা।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম এম জীবন, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, সঞ্চালক রফিকুল ইসলামসহ সারা দেশ থেকে আসা কর্মচারীরা।