পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে ব্যবসায়ী উদ্ধার : আটক ৩

মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ৫৫ ঘন্টা পর ব্যবসায়ী শশাংক কুমার দত্তকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল হতে ২ অপহরণকারীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে ব্যবসায়ী উদ্ধার : আটক ৩

মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ৫৫ ঘন্টা পর ব্যবসায়ী শশাংক কুমার দত্তকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল হতে ২ অপহরণকারীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বড়লেখার বাহাদুরপুর চা-বাগানের গভীর জঙ্গল থেকে ব্যবসায়ী শশাংক কুমার দত্তকে উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সোমবার দুপরে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ৪ জুন সন্ধ্যা ৬ টায় ব্যবসায়ী শশাংক কুমার দত্ত তার নিজবাড়ী হতে সিলেট টিলাগড় ভাড়াটিয়া বাসার উদ্দেশ্যে বড়লেখা উত্তর চৌমহুনাস্থ পোষ্ট অফিসের সামনে থেকে একটি সিএনজি যোগে রওয়ানা করেন। বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রামে সিএনজি পরিবর্তন করে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে আরেকটি সিএনজিতে উঠেন। সিএনজি গাড়ী যোগে বারইগ্রাম হতে সিলেট যাওয়ার পথে সিলেটের বিয়ানীবাজার মোল্লাপুর রাস্তার সম্মূখে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তার সিএনজি'র গতিরোধ করে, জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। 

অপহরণকারী চক্র শশাংক কুমার দত্তকে অজ্ঞাত স্থানে রেখে বিভিন্ন ভিওআইপি নম্বর হতে তার ছোট ভাই সুবোধ কুমার দত্ত এর মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে। ছোট ভাই এ বিষয়ে থানায় আইনগত সহায়তা চাওয়ার পরপরই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ৬ জুন মধ্য রাত দেড়টার দিকে বড়লেখার বাহাদুরপুর চা-বাগানের গভীর জঙ্গল থেকে ব্যবসায়ী শশাংক কুমার দত্তকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ২ অপহরণকারী সহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

আটক অপহরনকারীরা হলো ইসমাইল আহমেদ হারুন (১৯), জুলমান আহমেদ (৩২), সবুজ হেসোন (৩০)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মাহাম্মদ জাকারিয়া নেতৃত্বে মাঠ পর্যায়ে অবস্থান নিয়ে উদ্ধারের অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাদেক কাউছার দস্তগীর, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথসহ বড়লেখা থানার অফিসার ফোর্স এবং জেলা গোয়েন্দা টিম ও র‌্যাবের একটি দল।

পুলিশ সুপার আরও জানান, অপহৃত ব্যক্তিকে যে ঘরে আটক রাখা হয় তা কৌশলে সনাক্ত করে ঘরটিকে নিরাপদ দূরত্বে ঘিরে ফেলে পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাবের যৌথ টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিকটিমকে সাথে নিয়ে অপহরকারী ৭/৮ জন বাহাদুরপুর চা-বাগানের গভীর জঙ্গলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় যৌথ টিমের পর্যাপ্ত সদস্য থাকায় অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।। ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্ত্রারের অভিযান অব্যাহত আছে।