গণপূর্তে আবারো অশনি সংকেত!

গণপূর্তে আবারো অশনি সংকেত!
গোল্ডেন মনির

বির্তকিত ঠিকাদার জিকে শামীম ইস্যুতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সমালোচনার রেশ শেষ হওয়ার আগেই আরেকবার সরকারি এই  প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে।

আলোচিত ঠিকদার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির সংশ্লিষ্ট সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। শিগগিরই তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করা হবে।

রাজধানীতে ২০০ প্লটের মালিক গোল্ডেন মনির। এছাড়াও ৬১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দেখিয়ে তার সম্পদে হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। কিভাবে গোল্ডেন মনির বিপুল সম্পদের মালিক হলো তা খতিয়ে দেখছে দুদক।

অভিযোগ আছে, দুর্নীতির মাধ্যমে গোল্ডেন মনিরের বিশাল সম্পদ অর্জনে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ অনেকে। এ অভিযোগে এরই মধ্যে ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। যার মধ্যে চারজনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। এ চারজন হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্তে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু, রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আব্দুল মালেক ও আব্দুল জলীল আকন্দ। এ মাসের মধ্যেই তাদেরকে আয়কর নথি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন সুত্রে জানা যায়, দুর্নীতির মাধ্যমে গোল্ডেন মনিরের বিশাল সম্পদ অর্জনে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ অনেকে। এ অভিযোগে এরই মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে চারজনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

অল্প কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কারনে বিভিন্ন বির্তকিত ঠিকাদার আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে গণপুর্ত অধিদপ্তরের ২০০ বছরের ইতিহাস কলঙ্কিত করছে বলে মনে করেন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তারা।

গোল্ডেন মনিরের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরো অন্তত একডজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে দুদক।