রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
ভাসানচর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়াতে এই স্থানান্তরের পরিকল্পনায় উদ্বেগ জানিয়েছে। সেই সাথে, এরমধ্যে রোহিঙ্গাদের ১ হাজার ৬৪২ জনের প্রথম দলটিকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সেখানে আরও রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় বাংলাদেশের সাথে একমত নয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের সঙ্গে একমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, এ ধরনের যেকোনো স্থানান্তর রোহিঙ্গাদের জন্য অবশ্যই তথ্যভিত্তিক ও স্বেচ্ছায় হতে হবে; বলপূর্বক নয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র কেইল ব্রাউন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। এ দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে‌।

এদিকে রোহিঙ্গারা চাইলে মূল ভূখণ্ডের শিবিরে ফিরতে পারে—বাংলাদেশের এ মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এ অঙ্গীকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের ‌অবাধে কক্সবাজারে আসা-যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে তাদের মানবাধিকার সুরক্ষারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। এসব রোহিঙ্গার জীবিকার পাশাপাশি শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক সেবা পাওয়া উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া বিষয়ে ভাসানচরের নিরাপত্তা, উপযোগিতা ও স্থানান্তরিত লোকজনের মতামতের বিষয়ে জাতিসংঘ একটি নিবিড় এবং কারিগরি ও সুরক্ষাবিষয়ক স্বাধীন সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশকে। জাতিসংঘসহ সমমনা অন্য দাতাদের মতো যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশকে এ প্রস্তাব মেনে নিতে বলেছে। স্বাধীনভাবে সমীক্ষা চালানো হলে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়ে সেখানে থাকতে চায় কি না ও চরটি ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস থেকে নিরাপদ কি না জানতে সহায়ক হবে।

এ ছাড়া, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে আর মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরার সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রয়াস সফল করে তুলতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।