সাতক্ষীরায় নতুন আতংক, কিশোর গ্যাং
সাতক্ষীরা থানায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের পর এক সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারলেও মামলায় অন্য আসামিরা সবাই পলাতক। গ্রেফতারকৃতের নাম সাব্বির।
সাতক্ষীরা থানায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের পর এক সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারলেও মামলায় অন্য আসামিরা সবাই পলাতক। গ্রেফতারকৃতের নাম সাব্বির।
গত ২৮ জুলাই শেখ শফিউল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি করে ।
মামলায় আসামিরা হলেন, মো. আরিক (২১) পিতা ওয়াজেদ আলী ইটাগাছা, সাব্বির(১৯) পিতা মাহবুদুর রহমান মুনজিতপুর, মো. নয়ন (২০) পিতা মৃত বাদল ডোম কাটিয়া, মো. জয় (১৯) পিতা মৃত জামাল মনজিতপুর, মো. সুমন মাতা জাহানারা বেগম কাটিয়া, রাহুল (২০) পিতা মৃত বিশু ডাক্তার কাটিয়া, মৃদুল (২০) পিতা মো. রিপন মনজিদপুর।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উক্ত আসামি গণ এলাকার মধ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, গুন্ডা, চাঁদাবাজ, লাঠিয়াল, নেশাখোর ও কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। উক্ত আসামি গণ আমার ছেলে সানজিদ আল সাজিদের নিকট মোটা অংকের টাকা চাঁদাদাবি করে। এমতাবস্থায় ২৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উক্ত আসামি গণ পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেগ ৫ টি মোটর সাইকেল যোগে হাতে ধারালো ছুরি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার হাতুড়ি, জিআই পাইপ, রড ইত্যাদি নিয়ে কাটিয়া রেজিস্ট্রী অফিস পাড়া হেকিম সাহেবের খানকা মসজিদের সামনে আমার ছেলে সানজিদ আল সাজিদ ও মো ইকবল হোসেনের পুত্র রিয়াদের পথ গতিরোধ করে ১ লক্ষ টাকা চঁদাদাবি করে। আমার ছেলে তাদের কথায় রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করলে উক্ত আসামিরা আমার ছেলে সাজিদকে লোহার হাতুড়ি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পরলে আসামীগণ লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় সাজিদের কাছে থাকা নগদ তিন হাজার টাকা ও সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। এলাকা বাসী আসলে আসামি গণ হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষযে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সাব্বির, আরিক, নয়ন, জয়, সুমন, রাহুল, মৃদুল এরা সন্ত্রাসী। এরা কিশোর গ্যাং এর সদস্য। সাতক্ষীরার সুলতানপুর, মনজিতপুর,কাটিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, সরকারি দপ্তরগুলোতে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল কিংবা কোণঠাসা করাসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রুপিং, সংঘর্ষ ও ফেনসিডিল বহনের মত ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাং সদস্যরা। গ্রুপ ভারী করতে কিশোর তরুণদের বিপথগামী করে তুলছে এরা।
এই মামলার তদন্ত অফিসার এস আই শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামি সাব্বির গ্রেফতার হয়েছে বাকি ৬ জন আসামিকে খোজা হচ্ছে।
তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন সাতক্ষীরা শহরে কোন কিশোর গ্যাং থাকবে না। অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রকৌশলনিউজ/সু