অনলাইন জুয়াড়ি সিন্ডিকেট : গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অনলাইন জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি চৌকশ টিম।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অনলাইন জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি চৌকশ টিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আবুনছর মোহাম্মদ আজিজউল্লাহ (৫৩), মোঃ ফরহাদ রহমান (৩০) ও মোঃ আজিম হিরা (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপরাধে ব্যবহৃত ৮ টি মোবাইলফোন, ২টি ল্যাপটপ ও আড়াই লক্ষাধিক নগদ অর্থসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন সূত্রে জানানো হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬-৮ টা পর্যন্ত সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি চৌকশ টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার দুপুরে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন এর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম সুমন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ সাইবার/অনলাইন জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্য খুবই চাতুর্যের সাথে বিদেশী নাম্বারে Whatsapp ও ছদ্মনামে ফেসবুক ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জুয়া খেলায় প্রলুব্ধ করত। সিন্ডিকেটটির একটি বিশাল ও সুসংঘবদ্ধ নিজস্ব কর্মীবাহিনী রয়েছে যারা ধাপে ধাপে সুপার এজেন্ট, মাস্টার এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ইত্যাদি পদ ধারণ করে 9wickets ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে 9wickets.com নামক অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইটে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশ, নগদ ও ডিবিবিএল এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অবৈধ ই-ট্রান্সজেকশন করে অর্থ হাতিয়ে নিতো।
তিনি বলেন, এই চক্র ৩ কোটিরও অধিক জুয়ার টাকা মালয়েশিয়ায় প্রেরণ করে। এছাড়া শুধুমাত্র বাংলাদেশি জুয়াড়িদের টার্গেট করে তারা winpbu.com, deshikotha.com ইত্যাদি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আবুনছর মোঃ আজিজুল্লাহ 9wickets.com এর বাংলাদেশি সুপার এজেন্ট হিসেবে তার অধীনস্থ মাস্টার এজেন্ট মোঃ ফরহাদ রহমান, লোকাল এজেন্ট আজিম হীরাসহ অন্যান্য মাস্টার এজেন্ট ও লোকাল এজেন্টদের কাছে নগদ ও ডিবিবিএল এজেন্ট ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে জুয়ার পয়েন্ট (PBU) বিক্রি করত জানান এই সাইবার পুলিশ কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে ডিএমপি’র রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস