গুলশানে সীমান্ত ব্যাংকের ১৯তম শাখা উদ্বোধন
রাজধানীর গুলশানে সীমান্ত ব্যাংকের ১৯তম শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক ও সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বৃস্পতিবার বৃহস্পতিবার সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের ১৯তম গুলশান শাখার উদ্বোধন করেন।
রাজধানীর গুলশানে সীমান্ত ব্যাংকের ১৯তম শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক ও সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের ১৯তম গুলশান শাখার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান বলেন, ‘নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নারী পাচারে কারো কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না। নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয় সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবিও কাজ করছে।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলসমূহে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বিজিবি ডিজি বলেন, ‘উন্নত গ্রাহকসেবা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় সীমান্ত ব্যাংক রিটেইল ব্যাংকিং এর বিভিন্ন সেবা যেমন পার্সোনাল লোন, হোমলোন, কার লোন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য এস.এম.ই লোন, কৃষকদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ”নারীশক্তি” ঋণ, শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা উপকরণের জন্য প্রযুক্তি ঋণ, ইত্যাদি নানা ধরনের সেবা চালু করেছে।
এছাড়া সীমান্ত ব্যাংক ইতিমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, জঞএঝ, ইঋঞঘ এবং রেমিটেন্স সেবাসহ নানা রকম আধুনিক সেবা চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সীমান্ত ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করেন। একই বছরের ৯ অক্টোবর ধানমন্ডির পিলখানায় প্রধান শাখার মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। রাজধানীতে এটি সীমান্ত ব্যাংকের ৫ম শাখা।
এছাড়া ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, সাতকানিয়া, বেনাপোল, লালমনিরহাট, বিবিরবাজার, সিডস্টোর (ভালুকা), কক্সবাজার, টেকনাফ, চম্পকনগর (বি,বাড়িয়া), সিলেট ও প্রাগপুরে (কুষ্টিয়া), খুলনা, গদখালী (যশোর) সীমান্ত ব্যাংক ইতিমধ্যে শাখা স্থাপন করেছে। কক্সবাজারের রামু এবং খুলনায় ব্যাংকের আরও দুটি উপশাখা স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস