অস্ট্রেলিয়ায় বসে রোজীর ভয়ংকর প্রতারণা

অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে সিআইডি। তবে এ প্রতারণার মূল কলকাঠি নাড়ছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার আশা করছে সিআইডি।

অস্ট্রেলিয়ায় বসে রোজীর ভয়ংকর প্রতারণা

অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে সিআইডি। তবে এ প্রতারণার মূল কলকাঠি নাড়ছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার আশা করছে সিআইডি।

রোববার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- মো. সাইমুন ইসলাম (২৬) ও আশফাকুজ্জামান খন্দকার (২৬)।

উম্মে ফাতেমা রোজী (৩৫) একজন অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী। গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। মাঝে মধ্যে দেশে এসে টার্গেট করে কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। সেই সম্পর্কের জেরে বাংলাদেশিদের কম খরচে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখায় সে। ভুয়া ভিসা ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় রোজী।

সিআইডি জানায়, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ৪৭ বছর বয়সী এক আইনজীবী রোজীর ফাঁদে পা দিয়ে ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা হারিয়েছেন। তিনি মামলা করেছেন রোজীর বিরুদ্ধে। এরপরই সামনে আসে তার প্রতারণার ঘটনা।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ান Relative Sponsor migration subclass (855) permanent residence জাল ভিসা প্রস্তুত করে বাংলাদেশি নিরীহ লোকদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী।

রোজী মাঝেমধ্যে দেশে এসে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। দেশে এসে উচ্চবিত্তদের টার্গেট করে আত্মীয়ের ভিসায় অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাবে বলে প্রলোভন দেখান। সপরিবারে গেলে (স্বামী-স্ত্রী) ২৩ লাখ আর একা গেলে ১৮ লাখ বলে অফার দিতো।

রোজী অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন কনস্যূলার জেনারেল হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দেন। এ ছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছ থেকে পুরস্কৃত হন ও পুরস্কারের ছবি ভুক্তভোগীদের দেখান। এতে করে ভুক্তভোগীরা বিশ্বাস করতে থাকেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনমন্ত্রী এলেক্স হাউকির সঙ্গে সু-সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান। পরে ধাপে ধাপে কাগজপত্র ও ভিসার কথা বলে টাকা নিতে থাকেন।

প্রকৌশল নিউজ/এমআর