আমাকে নিয়ে ‘অন্যরকম’ চক্রান্ত চলছে

আমাকে নিয়ে ‘অন্যরকম’ চক্রান্ত চলছে

রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগের পর চিত্রনায়িকা পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমাকে নিয়ে 'অন্যরকম' চক্রান্ত চলছে।

সেইদিনের ঘটনায় পরীমণির সঙ্গীরা ৯৯৯ এ ফোন করলে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বুধবার গণমাধ্যকে জানান অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, টেবিলে মদের পরিবেশন না করায় ভাঙচুর চালায় এই চিত্রনায়িকা।

এদিকে, গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনাকে চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, ‘এটা ফালতু অভিযোগ। আমার বিরুদ্ধে কোনো জিডি হয়নি। আমাকে নিয়ে অন্যরকম একটা চক্রান্ত চলছে।’

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৭ জুন গভীর রাতে ৯৯৯-এ একটি কলে গুলশান থানা-পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা-কাটাকাটির জেরে ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন পরীমণি।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর বলেন, ‘ক্লাবের কিছু নিয়মকানুন আছে। কোনো মেল (পুরুষ) যদি ক্লাবে আসে, তাকে ড্রেস কোড মেইনটেইন করতে হয়। কিন্তু সেই মেল ভদ্রলোক হাপপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরে এসেছেন। তখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আমাদের ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ডিরেক্টর এবং ক্লাবের অ্যাডমিন। উনারা ওটা দেখে বলেছেন, আপনি তো ক্লাব রুল ভায়োলেট করেছেন। আপনি তো হাফপ্যান্ট পরে আসতে পারেন না। তো উনারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় উনাদের আচার-আচরণ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় উনারা (ক্লাব কর্তৃপক্ষ) বলেন, রাত হয়েছে আপনারা চলে যান। কিন্তু উনারা চলে যাচ্ছিল না দেখে আমাদের পরিচালকই ক্লাব থেকে চলে যান।‘

কে এম আলমগীর আরও বলেন, ‘এরপরে ওই সদস্য যার মাধ্যমে উনারা এসেছিলেন, উনিও উনাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করেন। কিন্তু উনারা চলে যাচ্ছিল না দেখে ওই সদস্যও চলে যান। তারপর উনারা অকস্মাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে যান। চেঁচামেচি শুরু করেন এবং গ্লাস, অ্যাস্ট্রে ছুড়ে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে উনারা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ কল করেন। পুলিশ আসার পরে উনারা দেখতে পান উনি (পরীমণি) এগুলো ছুড়ে মারছেন।’

ঢাকার বোট ক্লাবের ঘটনায় আলোচনায় আসেন পরীমণি। এ ঘটনায় আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এই চিত্রনায়িকা। মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস