ইসরায়েলি হামলায় বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা!
ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির কথা থাকলেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। চলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও। হামলা থেকে বাঁচতে নিজেদের বাড়িঘর ফেলে পালাচ্ছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। ইতোমধ্যে কয়েকশ পরিবার বাড়ি ছেড়ে উত্তর গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির কথা থাকলেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। চলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও। হামলা থেকে বাঁচতে নিজেদের বাড়িঘর ফেলে পালাচ্ছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। ইতোমধ্যে কয়েকশ পরিবার বাড়ি ছেড়ে উত্তর গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, অব্যাহতভাবে অপরাধমূলক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছে। করোনা মহামারিতে এসব ফিলিস্তিনি স্কুল, মসজিদ এবং অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলার সুযোগ নেই।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান ও আর্টিলারি শেল দিয়ে এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ জন।
গত ৯ মে রাতে আল-আকসায় মসজিদে শবে কদরের (লায়লাতুল কদর) নামাজ আদায় শেষে মসজিদ চত্বরে অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। স্বাভাবিকভাবেই তা দমাতে তৎপর হয়ে ওঠে ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ সময় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে আহত হন অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি। সংঘাতের পর থেকে আল-আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ।
এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। হামাসের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
ইসরায়েল এই হুমকিকে আমলে না নেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এরপর চলতে থাকে হামলা-পাল্টা হামলা।