দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে

দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে

দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

বৃহস্পতিবার গুলশানের হলি আর্টিজানে নিহতদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের এই দিনে হলি আর্টিজানে যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। এতে বাংলাদেশের তিনজন নাগরিকসহ মোট ২০ জন মানুষ ও বাংলাদেশ পুলিশের ২ জন সিনিয়র অফিসার নিহত হন। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাব তার জন্মলগ্ম থেকেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখে আসছে। এই ঘটনার পরেও কিন্তু যারা হলি আর্টিজানের ঘটনার সাথে জড়িত, এই পৈশাচিক কার্যাবলি তারা যখন প্রচার করছিল তাদের এই প্রচার আমরা বন্ধ করেছি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় পাঁচজনের একটি সন্ত্রাসী দল উপস্থিত সাধারণ মানুষের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের নৃশংসতার বলি হয় দেশী-বিদেশী মোট ২০ জন নাগরিক। এদের প্রত্যেককেই নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে মারা যান ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয়, ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এবং ২ জন বাংলাদেশী নাগরিক। সেদিনের সম্মিলিত প্রতিরোধ অভিযানে মোট ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ৪ জুলাই, ২০১৬ সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা রুজু হয়। তদন্তে ২১ জন আসামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে পাঁচজন অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত হন এবং পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে আরও আটজন নিহত হন। বিজ্ঞ আদালত যুক্তিতর্ক শেষে সাতজনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে খালাস প্রদান করেন।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস