নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণীত হয়েছে; যা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এই নীতিমালার আওতায় উত্তম কৃষি চর্চার ক্যাটাগরি, সাটিফিকেশন, টেস্টিং, মনিটরিং, রিপোর্টিং ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা থাকবে। এর মাধ্যমে ট্রেসেবিলিটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া, ফলমূল ও শাকসবজির বিদেশে রফতানি বাড়াতে সার্টিফিকেশন সিস্টেম উন্নত করা, পূর্বাচলে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব প্রতিষ্ঠা, শ্যামপুরে প্যাকেজিং ও প্রসেসিং কেন্দ্রের আধুনিকায়ন, বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ওয়াসিং ফেসিলিটিসহ ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণীত হয়েছে; যা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এই নীতিমালার আওতায় উত্তম কৃষি চর্চার ক্যাটাগরি, সাটিফিকেশন, টেস্টিং, মনিটরিং, রিপোর্টিং ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা থাকবে। এর মাধ্যমে ট্রেসেবিলিটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া, ফলমূল ও শাকসবজির বিদেশে রফতানি বাড়াতে সার্টিফিকেশন সিস্টেম উন্নত করা, পূর্বাচলে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব প্রতিষ্ঠা, শ্যামপুরে প্যাকেজিং ও প্রসেসিং কেন্দ্রের আধুনিকায়ন, বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ওয়াসিং ফেসিলিটিসহ ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী সোমবার মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে সার্ক কৃষি কেন্দ্র (এসএসি) আয়োজিত এবং কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (কিউসিআই) এর সহযোগিতায় দুইদিন ব্যাপী ‘ফলমূল ও শাকসবজির সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ও গ্যাপ (GAP) শনাক্তকরণ’ শীর্ষক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ড. রাজ্জাক বলেন, সার্কভুক্ত দেশসমূহে খাদ্য উৎপাদনে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে। তবে পুষ্টিকর খাবারে মানুষের কম প্রবেশযোগ্যতা এখনও উদ্বেগের কারণ হিসাবে অব্যাহত রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে অপুষ্টি এখনও প্রবল আকারে রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে, ফলমূল ও শাকসবজি পুষ্টি চাহিদা পূরণে সবচেয়ে সহায়ক হতে পারে। এ কারণে সার্ক আয়োজিত ফলমূল ও শাকসবজির উপরে উত্তম কৃষি চর্চার (গ্যাপ) আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি খুবই সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্কভুক্ত দেশসমূহের যৌথ প্রচেষ্টা, উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ) বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা গ্যাপ নীতিমালা সফলভাবে বাস্তবায়নে এবং সার্কভুক্ত দেশসমূহের বাণিজ্য বাধা দূর করতে সহায়ক হবে।
মন্ত্রী আশা করেন, এ ধরণের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে সহযোগিতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।
সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো: বক্তীয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ভারতের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এগ্রিকালচার কমিশনার ড. এসকে মালহোত্রা, ভুটানের কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব দাশো রিনঝিন দর্জি ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (উদ্যানতত্ত্ব) ড. নাসরিন সুলতানা বক্তব্য রাখেন। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ ও বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার উপস্থিত ছিলেন।
সার্কের ৫টি আঞ্চলিক সংস্থার মধ্যে সার্ক কৃষি কেন্দ্র (এসএসি) একটি অন্যতম আঞ্চলিক সংস্থা। বাংলাদেশে অবস্থিত এই কৃষি কেন্দ্রটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে কৃষি বিষয়ক প্রধান সমস্যা শনাক্তকরণ, নীতিমালা নির্ধারণ, ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা ও মানবসম্পদ বিকাশে কাজ করে আসছে। এসএসি আয়োজিত দুদিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী সার্কভুক্ত আটটি দেশ থেকে অংশ্রগ্রহণ করেন। এছাড়াও, আট দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে খ্যাতিমান প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।