নির্যাতিত গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়িতে তুলে দিলো পুলিশ
শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের মুখে বাধ্য হয়ে নিজ মায়ের কাছে চলে আসেন চট্টগ্রামের পটিয়া থানা এলাকার এক গৃহবধূ। পরে আবারও সন্তানকে নিয়ে স্বামীর কাছে সম্মানজনক সংসার জীবন চান তিনি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। সর্বশেষ কোনো উপায় না পেয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠান।
শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের মুখে বাধ্য হয়ে নিজ মায়ের কাছে চলে আসেন চট্টগ্রামের পটিয়া থানা এলাকার এক গৃহবধূ। পরে আবারও সন্তানকে নিয়ে স্বামীর কাছে সম্মানজনক সংসার জীবন চান তিনি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। সর্বশেষ কোনো উপায় না পেয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠান।
অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সসম্মানে শ্বশুরবাড়ি যান ওই গৃহবধূ। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি বর্তমানে তার স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে সুখী জীবন যাপন করছেন। মঙ্গলবার ( ২৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। বিয়ের পর কিছুদিন ভালো গেলেও, ধীরে ধীরে শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। গৃহবধূর পরিবারের কাছে নানা প্রত্যাশা তার শ্বশুড়বাড়ির মানুষের। বাবা নেই; তাই, সেই প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টাও করেছেন তার মা। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ক্রমশই বাড়তে থাকে নির্যাতনের মাত্রা। এক পর্যায়ে সইতে না পেরে শিশু সন্তানকে নিয়ে বিধবা মায়ের কাছে চলে আসতে বাধ্য হোন।
সোহেল রানা বলেন, সন্তানের ভরণপোষণ বা কোনো খোঁজ নিচ্ছিল না তার স্বামী বা স্বামীর পরিবার। ওই গৃহবধূ কোনো মামলায়ও যেতে চান না। স্বামী সন্তান নিয়ে তিনি সুখে থাকতে চান। একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক সংসার জীবন চান। নানা চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। এভাবেই নিজের কথা বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লিখে পাঠান গৃহবধু।
বার্তা পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং গৃহবধূর স্বামীর কর্মস্থল ও বর্তমান আবাসস্থল চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি মো. রেজাউল করিম মজুমদারকে বার্তাটি পাঠিয়ে সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন। পরে ১৬ জুলাই পুলিশের উদ্যোগে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূকে তার শিশু সন্তানসহ স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন সম্মানের সঙ্গে বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওই গৃহবধূ এবং তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। সবশেষ ২৭ জুলাই তাদের সঙ্গে কথা বলেছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। তারা উভয়েই জানিয়েছেন শিশু সন্তানসহ তারা এখন বেশ ভালো আছেন। একটি সুখী জীবনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্য আইনি অধিকার বাস্তবায়নে পুলিশ সক্রিয়ভাবে সব সময় পাশে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস