পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা ভারতের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শনিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
মুম্বাইভিত্তিক একটি পেঁয়াজ রপ্তানি সংস্থার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, ‘এই আদেশ হতবুদ্ধিকর এবং পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয়। এমনিতেই দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজ এখন পানির দামে বিক্রি হচ্ছে, তার ওপর আর কিছুদিন পর নতুন ফসল আসবে। তখন কী হবে?’
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রকে বলা হয় পেঁয়াজের রাজধানী। দেশটির পেঁয়াজের মোট চাহিদার বড় অংশই আসে এ রাজ্যটি থেকে।
রয়টার্সকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ রুপিতে। নিষেধাজ্ঞার পর থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে এবং বর্তমানে বাজারগুলোতে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য নেমেছে ১ হাজার ২০০ রুপিতে।
রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আসায় সামনের দিনগুলোতে দাম আরও নেমে যাবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হয় ভারতীয় পেঁয়াজ।
ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দামে ধস নামলেও বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছে হু হু করে। বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।