প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকানদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিক বিনিয়োগ আকর্ষণে তাঁর সরকারের দেয়া ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে মাতৃভূমিতে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিক বিনিয়োগ আকর্ষণে তাঁর সরকারের দেয়া ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে মাতৃভূমিতে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতরাতে এখানে লাগার্ডিয়া বিমান বন্দরের ম্যারিওট হোটেলে আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র চ্যাপ্টারের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশী প্রবাসীরা মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় নিউইয়র্কে কর্মরত সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলেন, তাঁর সরকার দেশের এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন উদ্দীপনা প্যাকেজ ও অন্যান্য সুবিধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আমেরিকানরা এ থেকে লাভবান হতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং প্রবাসীরা এতে আরো সুবিধা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে ভালো সুযোগ দিচ্ছি। প্রবাসীদের আরো সুবিধা (অন্যদের তুলনায়) দেয়া হচ্ছে। সুতরাং তারা এ সুযোগটি গ্রহন করতে পারেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে হেলসিঙ্কি হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান।
এখানে সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আগমীকাল সকালে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং ১ অক্টোবর তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ভূমিকার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে সব কথা না বললে সমস্যার সমাধান হবে না।
ভারসাম্যহীন উন্নয়ন টিকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের জন্য ব্যবস্থা না নিলে সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে না। সাংবাদিকদের কাছ থেকে তিনি কী চান, সে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সংবাদপত্র সমাজের আয়না। সমাজের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সুতরাং, নির্বিচারে সমালোচনা না করে একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রে মিথ্যা অভিযোগ করে কাউকে খাটো না করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারী ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার সরকার খাদ্য উৎপাদনে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন যে কভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য শুধু নয়, অন্য দেশের জন্যও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না থাকে।
দেশে ও বিদেশে শত্রু তৈরি এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ঝুঁকি নেয়া সম্পর্কিত আরেকটি প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, কিছু লোককে বঞ্চিত মানুষের জন্য ঝুঁকি নিতে হয়। আমি যখন ন্যায়বিচার এবং সমতা চাই তখন এটি নিয়ে চিন্তা করে কোনও লাভ হয় না। সুত্র-বাসস।