বাংলাদেশ-ভুটান নৌ যোগাযোগ চালুর বিষয়ে সম্মত

বাংলাদেশ ও ভুটান দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ-ভুটান নৌ যোগাযোগ চালুর বিষয়ে সম্মত

বাংলাদেশ ও ভুটান দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ কালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিকে লাভজনক করে তুলতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে জাহাজগুলো যাতে সহজে নোঙর করতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন।

বৈঠকে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে বিশেষ করে বাণিজ্য ও যোগাযোগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দুনেতা জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় এবং ত্রিপক্ষীয় জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা স্মারক তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য মাল্টিপল অ্যান্ট্রিসহ পূর্ণ মেয়াদি ভিসা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। জবাবে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশেষ করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ভুটানের প্রতি সহযোগিতা জোরদার করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম শহিদুল করিম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টিসিল এবং চিফ অব প্রটোকল দাসো ইউগেন গঙ্গোপেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী ৪৫ মিনিট একান্তে বৈঠক করেন।