বৃক্ষরোপণে সকলকে সম্পৃক্ত হবার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে একটি আন্দোলনে পরিণত করেছেন। এ আন্দোলনটি পরিবেশ সুরক্ষায় দেশের ও বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে জীবনবাজি রেখে দেশে ফিরে আসেন।
কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে একটি আন্দোলনে পরিণত করেছেন। এ আন্দোলনটি পরিবেশ সুরক্ষায় দেশের ও বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে জীবনবাজি রেখে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৩ সালে নানান প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তিনি কৃষক লীগের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেন। এর মাধ্যমে তিনি শুধু দেশের নয়, বৈশ্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় অনন্য নজির স্থাপন করেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত 'বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি- ২০২১’ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চরম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে দেশের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এ অবস্থায়,পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ কৃষকলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নসহ মাঠ পর্যায়ের অফিস ও কর্মকর্তারা এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হবে ও কৃষক লীগকে সহযোগিতা করবে বলে এসময় জানান মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ পরপর ৩ বার বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয় স্থান ধরে রাখতে যাচ্ছে। ইন্দোশিয়াকে টপকে এ স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ। এটি প্রমাণ করে করোনা ও নানান দুর্যোগ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে ক্রমাগত ভাল করছে ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থায় আছে।