ভুলে হাজতির মুক্তি: ডেপুটি জেলার বরখাস্ত, জেলার প্রত্যাহার

ভুল করে এক হাজতির পরিবর্তে অন্য হাজতিকে ছেড়ে দেওয়া তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে। জানা যায়, ভুল করে লিটন ফরাজি নামে এক হাজতিকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কারাগারের ডেপুটি জেলা হোসেনুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত ও জেলার আমীরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে কারারক্ষী ইব্রাহীমকেও।

ভুলে হাজতির মুক্তি: ডেপুটি জেলার বরখাস্ত, জেলার প্রত্যাহার

ভুল করে এক হাজতির পরিবর্তে অন্য হাজতিকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে। জানা যায়, ভুল করে লিটন ফরাজি নামে এক হাজতিকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কারাগারের ডেপুটি জেলা হোসেনুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত ও জেলার আমীরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে কারারক্ষী ইব্রাহীমকেও।

বুধবার সন্ধায় এ সংক্রান্ত একটি চিঠি শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে কারারক্ষী ইব্রাহীমের বরখাস্তের আদেশটি আসে মঙ্গলবার।

কারা সূত্রে জানা যায়, গোসাইর হাট থানার একটি চুরির মামলায় আসামি হিসেবে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে ঢুকানো হয় লিটন ফরাজি ও লিটন সিকদার নামে দুই আসামিকে। তারা দুজনই আবার রাজবাড়ী ও খুলনার দুটি মামলার আসামি। এ দুটি জেলার মামলাগুলোতে জামিনে থাকার পর রোববার গোসাইর হাট থানার মামলায় শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালত থেকে জামিন পান লিটন শিকদার। তবে ভুলে কারা কর্তৃপক্ষ লিটন ফরাজিকে ছেড়ে দেয়।

এদিকে একই দিনে শরীয়তপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন লিটন ফরাজিও তবে রাজবাড়ী ও খুলনার আদালতে তিনি জামিনে ছিলেন না। সেক্ষেত্রে তার কারাগারেই থাকার কথা ছিলো।

রোববার শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ওই জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছালে কারা কর্তৃপক্ষ লিটন সিকদারকে না ছেড়ে লিটন ফরাজিকে সন্ধ্যায় মুক্তি দেয়। লিটন সিকদারকে আটক রাখা হয়। লিটন সিকদারের স্বজনেরা বিষয়টি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তাঁদের নজরে আসে নামের ভুলে লিটন ফরাজি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। পরে সোমবার রাতে লিটন সিকদারকে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে লিটন ফরাজিকে এখনো খুঁজে পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

লিটন ফরাজি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দামুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। আর লিটন সিকদার খুলনার খালিশপুরের বাসিন্দা। গত ১১ মার্চ তাঁদের শরীয়তপুর জেলা কারাগারে আনা হয়।

ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষকে জানান শরীয়তপুর জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) গোলাম হোসেন। পরে ঘটনাটি তদন্তের জন্য বরিশাল বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। মঙ্গলবার তারা শরীয়তপুর জেলা কারাগার পরিদর্শন করে ঘটনাটির তদন্ত করে।

ডেপুটি জেলারকে বরখাস্ত ও জেলারকে প্রত্যাহারের তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।