মেয়ের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে মা
দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ঘটনা। সেখানকার গ্লুচেস্টারশায়ারের ২৪ বছর বয়সী যুবতী জেস অলড্রিজকে ভালবাসতো তার বয়ফ্রেন্ড রায়ান শেলটন (২৯)। অলড্রিজ দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ঘটনা। সেখানকার গ্লুচেস্টারশায়ারের ২৪ বছর বয়সী যুবতী জেস অলড্রিজকে ভালবাসতো তার বয়ফ্রেন্ড রায়ান শেলটন (২৯)। অলড্রিজ দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন। এ সন্তানের পিতা শেলটন। তিনি সন্তান জন্মও দিলেন। ফুটফুটে একটি পুত্রসন্তান হলো তাদের। কিন্তু এর মাত্র কয়েকদিন আগে প্রেমিকা জেস অলড্রিজের মা জর্জিনাকে (৪৪) নিয়ে চম্পট দিয়েছে অলড্রিজের প্রেমিক শেলটন। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে সর্বত্র।
তাদের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে জর্জিনা তার স্বামী এরিককে নিয়ে দুই লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডের বাড়িতে বসবাস করতেন। সেখানেই অলড্রিজ এবং শেলটনের জন্য একটা ব্যবস্থা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। জর্জিনার আছে ৬টি নাতি-নাতনি।
অন্যদিকে শেলটন একটি কার-পার্টসের সেলসম্যান। তিনি অলড্রিজের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করে যেতে থাকেন। এভাবে প্রথম সন্তান হওয়ার পর অলড্রিজ দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন। দু’চারদিনের মধ্যে তিনি সন্তান ভূমিষ্ঠ করবেন এমন সময়ে তার মা আর শেলটন ঘটিয়ে দেন এই অঘটন।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে শেলটনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করেন অলড্রিজের মা। তিনি শেলটনের হাত ধরে পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। অলড্রিস হাসপাতাল থেকে নবজাতক বুবেনকে নিয়ে বাসায় ফেরেন। দেখতে পান বাসায় কেউ নেই। তার মা ও শেলটন তাদের বাসা থেকে ৩০ মাইল দূরে একটি নতুন বাড়িতে চলে গেছেন।
এ ঘটনায় হৃদয় ভেঙে যায় অলড্রিজের। তিনি দ্য সান’কে বলেন, এটা রীতিমতো এক বিশ্বাসঘাতকতা। আপনি হয়তো এটা মনে করতে পারেন যে, একজন দাদী বা নানী একজন কম বয়সী, অবিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পালাতে বা বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু সন্তান আছে, এমন পুরুষের সঙ্গে তিনি পালাতে পারেন না। আমার মা তো আমার দুই সন্তানের নানী হতে যাচ্ছিলেন। তাদেরকে দেখাশোনা করার কথা ছিল তার। তার পরিবর্তে তিনি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গেই পালিয়ে গেলেন!
অলড্রিজ ভেবেছিলেন তিনি মায়ের মুখোমুখি হবেন। সব হিসাব মিলিয়ে নেবেন। হয়তো তাকে বোঝালে তিনি ফিরে এসে তার সন্তানদের দেখাশোনা করবেন। দু’এক মাসের মধ্যে অলড্রিজ তার প্রেমিক ও নিজের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করলেন।
এক পর্যায়ে তারা জানান, তাদের মধ্যে কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। পরে অলড্রিজ আবিষ্কার করেন যে, তিনি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তখন তার প্রেমিক ও মা দু’জনের মধ্যে গোপন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মার মুখোমুখি দাঁড়ালেন অলড্রিজ। তাকে জর্জিনা সাফ জানিয়ে দিলেন, যাকে তিনি ভালবাসেন তাকে ছাড়বেন না। শেলটন আমার প্রেমিক। সে আমার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
প্রকৌশল নিউজ/এস