যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের পর বড় সংকট দেখা দিয়েছে যুক্তরাজ্যে। ৩০টির বেশি দেশে এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক দেশ তাদের ফ্লাইট স্থগিত রেখেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিমানসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অতি তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের পর বড় সংকট দেখা দিয়েছে যুক্তরাজ্যে। ৩০টির বেশি দেশে এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক দেশ তাদের ফ্লাইট স্থগিত রেখেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিমানসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অতি তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে ‘জিন এক্সপার্ট মেশিন ও মোবাইল ল্যাবরেটরি উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। প্রয়োজন হলে আমরাও ফ্লাইট স্থগিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটে করে যারা আসছে তাদের আলাদা করা হচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আমাদের কেউ যাতে নতুন ধরনের করোনায় আক্রান্ত না হয়, এ জন্য পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সক্ষম মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের মাত্র একটি ল্যাব ছিল। এখন ১৬০টির অধিক ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১০ জেলার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চলছে, আজ থেকে জিন এক্সপার্ট মেশিন ও মোবাইল ল্যাবরেটরি মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজাতির (ধরন) করোনা কী ধরনের, এটা আমরা পরীক্ষা করলে বুঝতে পারব। এই ভাইরাসের জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন হবে, এটাও এখন কেউ জানে না। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে এখনো কোনো কিছুই বলেনি। যদি এই ভাইরাসের জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা লাগে, সেটাও আমরা করব।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে এখনও লকডাউনের পরিবেশ তৈরি হয়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি দেখে বলা যায় করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পোশাক খাত চালু আছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুন্দর আছে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা আছে। তবে নতুন নতুন ল্যাব উদ্বোধনের মাধ্যমে এ সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে এখন সুস্থতার হার ৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের ঘরে ওঠানামা করছে। একই অবস্থানে আছে মৃত্যু হার। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সবাই মিলে করোনা জয় করতে চাই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আর্মি কোয়ারেন্টাইন ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফ, হজ ক্যাম্প কোয়ারেন্টাইন ইনচার্জ মেজর মোস্তফা, ডি এম আর ল্যাব প্রধান ফয়জুর রহমানসহ আরও অনেকেই।