রাত জেগে শবে কদরের ইবাদত করল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ

মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত লাইলাতুল কদর বা সৌভাগ্যের রজনী। এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র এই রাতেই অবতীর্ণ হয়েছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন।

রাত জেগে শবে কদরের ইবাদত করল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ

মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত লাইলাতুল কদর বা সৌভাগ্যের রজনী। এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র এই রাতেই অবতীর্ণ হয়েছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন। 

তাই পবিত্র শবে কদরের রাতে মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ আদায় আর কোরআন তেলাওয়াত করেই কাটিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। গুনাহ্ মাফের রাত হিসেবে ইবাদত বন্দেগির মধ্যদিয়ে রাতটি পার করেছেন মুসল্লিরা।

মসজিদে মসজিদে সারা রাত ধরেই চলে নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তেলাওয়াত। ইবাদতে উঠে আসে করোনা মহামারির প্রসঙ্গ। দোয়া করা হয় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায়।

বায়তুল মোকাররমে আসা এক মুসল্লি বলেন, আজ নামাজ পড়ে সবার জন্য দোয়া করলাম। আল্লাহ যেন সবাইকে রক্ষা করেন। সবচেয়ে বড় যেটা চাওয়া সারা পৃথিবী যে করোনায় জর্জরিত অবস্থায় আছে, আমরা যেভাবে স্থবির হয়ে আছি, এ অবস্থা থেকে আল্লাহ যেন আমাদের মুক্তি দান করেন।

হাদিসে আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতই পবিত্র শবেকদর হতে পারে। বরকতময় এই রাতে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও আল্লাহকে ডাকার মাধ্যমে মুসলমানদের পাপমুক্তির বড় সুযোগ বলে মনে করেন আলেমগণ।

মসজিদ ছাড়াও ঘরে ঘরে শবে কদরের এ রাতে নফল নামাজসহ ইবাদত বন্দেগিতে স্রষ্টার সান্নিধ্য কামনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।