সাতক্ষীরা শহরে মোটরসাইকেলের মরণ গতি
সাতক্ষীরা শহরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু সংখ্যক উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকদের। বেশ কিছুদিন ধরে এমন চিত্র দেখা মিলছে পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায়।
সাতক্ষীরা শহরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু সংখ্যক উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকদের। বেশ কিছুদিন ধরে এমন চিত্র দেখা মিলছে পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উচ্চগতি আর হেলেদুলে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে বাইকাররা যেমন দুর্ঘটনায় পড়ছে তেমনি অন্য পথচারীও বিপদের সম্মুখিন হচ্ছেন। আতংকে থাকতে হচ্ছে পথচারীদের। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
বাসস্ট্যান্ডের চায়ের দোকানী জানান, প্রায় প্রতিদিন অল্প বয়সী ছেলেরা মোটরসাইকেলে দ্রুত গতিতে যাতায়াত করে থাকেন। যাদের অনেকের বাড়ি এ শহরেই। নিষেধ করা হলেও তারা শুনছে না। ঈদের সময় তাদের বেপরোয়া গতি আরো বেড়ে যায়। এর ফলে বিগত সময় গুলোতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কয়েক যুবকের অকাল মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে অনেকেই।
শহরের অনেক অভিভাবক পত্রপত্রিকায় বিষয়টি তুলে ধরে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিভিন্ন বয়সীদের অহেতুক অতিগতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল চালানো নিত্যদিনের দৃশ্য। গত কয়েক বছর আগে মাইকিং করে অতিউচ্চগতিতে মোটরসাইকেল চালানো বারণ করা হয়, কিন্তু বারণ না শোনায় কলারোয়া থানার তৎকালীন ওসির বিশেষ নির্দেশে অহেতুক অতিউচ্চগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে কয়েক যুবককে রাস্তায় আটক করা হয়েছিল এবং প্রকাশ্যে তাদের রাস্তায় কান ধরে উঠবস, চপ-থাপ্পর, রোদে দাড় করিয়ে রাখা, লাঠি দিয়ে হাটুর নিচে মারধোর, অভিভাবকদের তলব করা ইত্যাদি বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। ফলে সেসময় কিছু দিনের জন্য এমন বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ হয়। কিন্তু গেলো কয়েক মাস যাবত আবারো বেপরোয়া ও ভয়ানক ভাবে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু যুবক ও কিশোরদের।
ব্যবসায়ী নিয়ামুল হাফিজ বলেন, রাস্তা বা দোকানে মেয়েদের দেখলে ওই সকল ছেলেদের মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চালানোর বেগ আরো বেড়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় দুর্ঘটনার সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, এক্ষেত্রে কিশোর-যুবকদের সাথে তাদের অভিভাবকরাও দায়ী। সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে এসব বিষয়ে অভিভাবকদের সজাগ থাকা অত্যাবশ্যকীয়। অভিভাবকদের তার সন্তানকে বোঝানো উচিত যে, যদি তারা এমন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায় তাহলে তাদের একটি দুর্ঘটনায় সারা জীবন নিজেকে ভুগতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চালানোর অপরাধে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এসকল বিষয়ে সচেতন হওয়ার লক্ষ্যে অচিরেই অভিভাবকদের মোটিভেট করা হবে।