রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার পথে ইইউ

বিশ্বকে চমকে দিয়ে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার পথে ইইউ

বিশ্বকে চমকে দিয়ে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয় জানিয়েছেন ইইউ কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিন বলেন, ইউরোপে যুদ্ধ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন দায়ী। ইইউ এ জন্য তাকেই দায়ী করবে।

ইউরোপীয় নেতাদের কাছে 'ব্যাপক এবং সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ'-এর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলেও জানান ভন ডার লিন।

জরুরি এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তি এবং মার্কেটে রাশিয়ার প্রবেশ বন্ধ করতে তাদের অর্থনীতির কৌশলগত খাতকে নিশানা করব। আমরা রাশিয়ার অর্থনীতির ভিত এবং আধুনিকায়নের সক্ষমতাকে দুর্বল করে দেব। এ ছাড়া আমরা ইইউ দেশগুলোতে রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করাসহ ইউরোপীয় অর্থবাজারেও রাশিয়ার প্রবেশ বন্ধ করব বলে তিনি জানান।

ইইউ এরই মধ্যে বুধবার রাশিয়ার ওপর প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আওতায় ইইউ রাশিয়ার রাজনীতিবিদদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে এবং রাশিয়ার স্বীকৃতি পাওয়া পূর্ব ইউক্রেইনের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য কমিয়েছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলার পর দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে রাশিয়ার অনেক শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।

এসব বিক্ষোভে এ পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে রুশ পুলিশ। এদের মধ্যে মস্কোতে ৯০০ জনকে ও সেন্ট পিটার্সবার্গে ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও এবং ছবিতে হাজার হাজার মানুষকে ‘যুদ্ধকে না বলুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় মিছিল করতে দেখা যায়। কিছু প্ল্যাকার্ডে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করা হয়েছে।

ইউক্রেন হামলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মস্কোর পুসকিন স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় এক হাজার মানুষ।

রুশ পার্লামেন্টের ভবনের নিম্নকক্ষের সামনের গেটে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে ‘সে নো টু ওয়্যার’ লেখা হয়েছে।  

রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের আরও অনেক শহরে যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শত শত বিক্ষোভকারীর শরীরে ইউক্রেনের পতাকা জড়িয়ে জাতিসংঘের রুশ মিশনের দিকে মিছিল করেছে।