রাশিয়ান বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের ১৩৭ সেনা নিহত
দখলদার রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের গভীরে প্রবেশ করেছে। প্রাণঘাতি যুদ্ধে তারা কিয়েভের উপকন্ঠে পৌঁছেছে এবং পশ্চিমারা এর জবাবে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
দখলদার রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের গভীরে প্রবেশ করেছে। প্রাণঘাতি যুদ্ধে তারা কিয়েভের উপকন্ঠে পৌঁছেছে এবং পশ্চিমারা এর জবাবে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ণমাত্রায় স্থল অভিযান ও বিমান হামলার ঘোষণা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং গোলা বর্ষণ করা হয়। এতে বেসামরিক লোকরা ভূগর্ভস্ত মেট্রো সিস্টেমে আশ্রয় নেয়। ১ লাখের মতো লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিনের পরে ইউক্রেনের কমপক্ষে ১৩৭ ‘বীর’ নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে যোগদান এবং রিজার্ভ সেনাদের দেশব্যাপী আগ্রাসন মোকাবিলায় লড়াই চালানোর আহবান জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ান অভিজাত এবং ব্যাংক গুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে তারা বলেছে, মার্কিন বাহিনী ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য পূর্ব ইউরোপের দিকে যাবে না, বরং তারা ন্যাটো অঞ্চলের ‘প্রতি ইঞ্চি’ ভূমি রক্ষা করবে।
জেলেনস্কি বলেন, স্নায়ু যুদ্ধের মতো রাশিয়া এবং অবশিষ্ট বিশ্বের মধ্যে এখন একটি ‘নতুন লোহার পর্দা’ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার জাতিকে একা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কে আমাদের সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত? আমি কাউকে দেখছি না।’
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়ান বাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। এটি ১৯৮৬ সালে দুর্ঘটনার পরে তেজস্ক্রিয় দূষিত এলাকা হিসেবে পরিত্যাক্ত ঘোষিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছে, বেলারুশের দিক থেকে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলার পর রাশিয়ার ছত্রীসেনারা কিয়েভের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকন্ঠে কৌশলগত গোস্টোমেল এয়ারফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সের্গি স্টোরোঝুক বলেন, ‘হেলিকপ্টার ঢুকে পড়ার পরেই যুদ্ধ শুরু হয়। তারা মেশিনগান ও গ্রেনেড লাঞ্চার থেকে গুলি চালায়।’
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানীর চারপাশে ‘অপ্রতিরোধ্য শক্তি’ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং ইউক্রেনের ওপর আকাশ যুদ্ধের ‘সম্পূর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব’ প্রতিষ্ঠা করেছে।
অন্যদিকে রাশিয়ান স্থল বাহিনী দেশটির উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে। বোমা ও গোলার শব্দে আতঙ্কিত ইউক্রেনীয়রা বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী ওই দিনের জন্য তাদের লক্ষ্য ‘সফলভাবে’ সম্পন্ন করেছে। এর আগে তারা ইউক্রেনের ৭০টির বেশী সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার দাবি করেছে। এর মধ্যে ১১টি বিমান ঘাটি রয়েছে।