রিমান্ড শেষে কারাগারে মামুনুল ও রফিকুল
রিমান্ড শেষে হেফাজতে ইসলামের সাবেক দুই নেতা মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে হেফাজতে ইসলামের সাবেক দুই নেতা মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সোমবার (১০ মে) রাজধানীর পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় এ আদেশ দেন আদালত। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপপরিদর্শক মোতালেব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুই আসামির বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুই মামলায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
গত ২৬ এপ্রিল মতিঝিল ও পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৯ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর জখম, চুরি মামলায় আরও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তার আগে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এক মাসের বেশি সময় ধরে ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানান কারণে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন মাওলানা মামুনুল হক।
নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা মনে করছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের (বিলুপ্ত কমিটি) যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় দুই হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপদফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৮ এপ্রিল র্যাব বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৩ এপ্রিল গাছা থানা পুলিশ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে ১৫ এপ্রিল আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গত ২১ এপ্রিল তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।